বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন
রিকন বড়ুয়া:
বিদ্যুৎ জালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘কক্সবাজারের মহেশখালী মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র একটি বিলাসী প্রকল্প। এই প্রকল্প সাধারণ মানুষের কাজে আসবে না। জনগনের সরাসরি উপকৃত হয়না এরকম প্রকল্প গ্রহণ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
ফাওজুল কবির খান আরো বলেন, ’বিগত সরকার অসংখ্য মেঘা প্রকল্প গ্রহণ করেছে যেগুলো এখন জনগনের সরাসরি উপকারে আসছে না। বিশেষ করে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ দেশের কয়লা ভিত্তিক কেন্দ্র সমুহের বিদ্যুৎ উৎপাদন নিরবিচ্ছিন্ন রাখার জন্য যথাসময়ে কয়লা আমদানি করা হবে।’
আজ শনিবার বিকেলে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দর এলাকা পরিদর্শন শেষে কক্সবাজার হিল ডাউন সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই বক্তব্য দেন।
জালানী উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে যে বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে, তা একটি বিলাসী প্রকল্প। প্রকল্প গ্রহণকালে প্রথমে ৩৬ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে তা ৫৭ হাজার কোটি টাকা এই প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়িয়েছে। অথচ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মাত্র ১২ শত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি প্লান্ট করা হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নকালে মেঘা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ গুলো তদন্ত করা হবে। ইতোমধ্যে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পের এমডি আবুল কালাম আজাদকে প্রকল্প পরিচালক থেকে বাদ দিয়ে নতুন এমডি নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’
এর আগে শনিবার দুপুরে উপদেষ্টা কক্সবাজার থেকে সড়ক পথে মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে গিয়ে পৌঁছান। পরে তিনি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দর ঘুরে দেখেন।
পরিদর্শন শেষে বিদ্যুৎ উপদেষ্টা কেন্দ্রের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সম্ভাব্য কয়লা সংকট কিভাবে কাটিয়ে ওঠা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
পরিদর্শনকালে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, জালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের চেয়ারম্যান সহ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাগন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন।
ভয়েস/আআ