মঙ্গলবার, ০৮ Jul ২০২৫, ০২:৩৩ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

গানের পাখির ফিরে আসা

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
দুই যুগ আগে মাদাগাস্কারের নদী অববাহিকার চিরহরিৎ বনাঞ্চলে দেখা মিলত বাবুইয়ের মতো ছোট্ট এক প্রজাতি পাখির। বাবুইয়ের মতোই বাসা বাঁধার কৌশল তার। আর নদীর জলতরঙ্গের মতোই ছন্দময় গলা। মিষ্টি গলার সুরেলা ডাকের কারণে ডাস্কি তেতরাকা নামে পাখিটি দ্বীপ দেশটিতে পরিচিতি পেয়েছে গানের পাখি হিসেবে। তবে জলপাই-রঙা শরীর আর হলদে গলার পাখিটি ১৯৯০ সালের পর সেখানে আর দেখা যায়নি। প্রাণী বিজ্ঞানীদের কেউ কেউ পাখিটিকে ফেলে দিয়েছিলেন বিলুপ্তির তালিকায়। তবে যারা আশা ছেড়ে না দিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে পাখিটির খোঁজ করেছেন, তারা শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছেন। গত ডিসেম্বর মাসে তিনটি ডাস্কি তেতরাকা পাখির খোঁজ পেয়েছে একদল গবেষক। আর গত সপ্তাহে তারা গানের পাখির ফিরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন।

বিবিসি বলছে, দ্য পেরেগ্রেইন ফান্ডের মাদাস্কার কর্মসূচির আওতায় পরিচালিত এক গবেষণায় সন্ধান মিলেছে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতিটির। গবেষকরা গত ডিসেম্বর মাসে দেশটির মাসোয়ালা উপসাগরীয় অঞ্চলে দুটি পাখির দেখা পান। পরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে আন্ডাপা এলাকায় দেখা যায় আরেকটি পাখি।

বিবিসি বলছে, গবেষকদের নথি অনুসারে ১৯৯৯ সালে শেষবার দেখা গিয়েছিল ডাস্কি তেতরাকা প্রজাতির এ পাখিকে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাও বিশ্বের বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা ১০ প্রাণীর তালিকায় ফেলেছিল একে।

দ্য পেরেগ্রেইন ফান্ডের মাদাস্কার কর্মসূচির পরিচালক ও গবেষক দলের প্রধান লিলি-অ্যারিসন রেনে দে রোনাল্ড বলেন, মাদাগাস্কার জীববৈচিত্র্য আসলেই অনন্য। এখানে এখনো অনেক কিছু আবিষ্কার হওয়ার বাকি আছে।

তিনি বলেন, ডাস্কি তেতরাকা শুধু মাদাগাস্কারেই পাওয়া যেত। তবে গত দুই যুগে অনেকে ধরে নিয়েছিলেন ডাস্কি তেতরাকা পুরোপুরি হারিয়ে গেছে প্রকৃতি থেকে। তবে আমাদের বিশ্বাস ছিল, এই ভূখণ্ডের বৈচিত্র্যময় প্রকৃতিতে কোথাও হয়তো ঠিকই খুঁজে পাওয়া যাবে সুরেলা গলার পাখিটিকে। আর আমরা শেষ পর্যন্ত পেয়েছি। এখন তার জীবন সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারব। শুধু তা-ই নয়, এ আবিষ্কার মাদাগাস্কারের বাস্তুসংস্থানেরও বিষয় ধারণা দেবে।

রেনে দে রোনাল্ড জানান, এর আগে ২০০৬ সালে তিনি যখন শিক্ষার্থী তখনো হারিয়ে যাওয়া লাল প্যাঁচা ও বিরল প্রজাতির ইগল পুনঃআবিষ্কার করেছিলেন। তখন আন্ডাপা এলাকার বনাঞ্চল ছিল ঘন। কিন্তু এবার দেখা যায় বনের অনেক এলাকাই খালি হয়ে গেছে।

অবশ্য আমেরিকান বার্ড কনজারভেন্সির পক্ষীবিশারদ জন মিত্তারমেরেজ মনে করেন, পাখিটি তার স্বভাবের কারণেই দীর্ঘ সময় মানুষের চোখের আড়ালে থেকেছে। তার ভাষ্য, নদী এলাকা থাকার কারণেই ডাস্কি তেতরাকাকে বনের গভীরে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার পরও আবিষ্কারটি গুরুত্বপূর্ণ। গানের পাখির ফিরে আসা প্রকৃতির জন্য ভালো বিষয়।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION