শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০১:১০ পূর্বাহ্ন
ধর্ম ডেস্ক:
মোনাজাত আরবি শব্দ। অর্থ চাওয়া, প্রার্থনা করা। মোনাজাত একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। আল্লাহতায়ালা সাহায্য প্রার্থনাকারীকে অধিক ভালোবাসেন। দুনিয়ার কোনো মানুষের কাছে একবার বা দুবার কিছু প্রার্থনা করলে সে বিরক্ত বোধ করে অথবা রেগে যায়। কিন্তু মহান আল্লাহ এমন এক মালিক, যার কাছে একবার নয় দুবার নয় হাজার বার প্রার্থনা করলেও তিনি নারাজ হন না। তার কাছে যত বেশি চাওয়া যায় তিনি তত বেশি খুশি হন। তিনি অপরাধীদের তালাশ করেন শাস্তি দেওয়ার জন্য নয় বরং তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য।
আল্লাহতায়ালা মোনাজাতের ব্যাপারে এত দয়ালু যে, তিনি ইসলামের শত্রু আবু জাহেল, নমরুদ এমনকি ফেরাউনের মোনাজাত কবুল করেছেন। তাই তো হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবিদের বলতেন, তোমরা বেশি বেশি আল্লাহর অনুগ্রহ প্রার্থনা করো এবং সমস্ত বিপদ-আপদে একমাত্র তাকে ডাকো। কেননা যাবতীয় সমস্যার সমাধানকারী একমাত্র তিনিই।
আল্লাহতায়ালা বলেন, আমার রহমতের সাগর অনেক বড়। কোনো অপরাধী যদি অপরাধ করে আমার কাছে ক্ষমা চায় তাহলে আমি ক্ষমা না করে থাকতে পারি না। হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমরা ফরজ নামাজের পর বেশি বেশি দোয়া করো, কেননা আল্লাহতায়ালা তখন তোমাদের দোয়াগুলোকে কবুল করবেন। তিরমিজি
অন্য এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘দোয়া হলো সমস্ত ইবাদতের মগজ।’ সহিহ্ বোখারি
হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জামানায় কোনো সাহাবি বিপদে পড়ে রাসুলের কাছে এলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে দোয়া করতে এবং ধৈর্যধারণ করতে বলতেন। এক হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘মানুষ গোনাহ করতে ভালোবাসে আর আল্লাহতায়ালা ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। কেননা তিনি গাফফার অর্থাৎ ক্ষমাশীল।’ সহিহ্ মুসলিম
অন্য হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহতায়ালা ক্ষমাশীল এবং ক্ষমাকারীকে পছন্দ করেন। হাদিসে আরও ইরশাদ হয়েছে, কেউ যদি সাগর পরিমাণ গোনাহ করে ফেলে অতঃপর আল্লাহর দরবারে এসে দুই হাত তুলে মাফ চায়, আল্লাহতায়ালা সঙ্গে সঙ্গে তার সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেন।
ভয়েস/আআ