রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

করোনায় শিশুর স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি কাবু হয়েছেন তরুণরা। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, তৃতীয় ঢেউ শিশু এবং কিশোরদের জন্য ঝুুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

করোনার তৃতীয় ঢেউ কেন শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে এবং এটি মোকাবেলায় কী প্রস্তুতি নিতে হবে- এ প্রসঙ্গে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের মতামত জানিয়েছেন মুম্বাইয়ের ওয়াদিয়া হসপিটাল অব চিলড্রেন-এর হেড অব ডিপার্টমেন্ট ডা. সুধা রাও।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা করোনার তৃতীয় ঢেউ আরও বেশি শিশুকে আক্রান্ত করবে। প্রথম ঢেউয়ের প্রভাব পড়েছিল ১-২ শতাংশ শিশুর মধ্যে, দ্বিতীয় ঢেউয়ে তা দাঁড়ায় ৪-৬ শতাংশে, তৃতীয় ঢেউয়ে আশঙ্কা করা হচ্ছে প্রায় ১২-১৫ শতাংশ শিশুর ওপর করোনার প্রভাব পড়তে পারে। তবে এই অনুমান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আরো সময়ের প্রয়োজন পড়বে।

তিনি জানান, তৃতীয় ঢেউয়ে যে শিশু এবং কিশোরদের ঝুঁকি বেশি তার যুক্তিপূর্ণ কারণও রয়েছে। সবচেয়ে সাধারণ এবং স্পষ্ট কারণ হলো, ১৮ বছরের কম বয়সীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে না। করোনা আক্রান্ত হয়ে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হলে সেক্ষেত্রে টিকার প্রয়োজন নেই। কিন্তু শিশুদের মধ্যে কত শতাংশের অ্যান্টিবডি রয়েছে, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। তাই ইমিউনোলজির দিক থেকে বলা যায় শিশুরা দুর্বল। এছাড়া করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি শিশুদের বেশি সংক্রামিত করতে পারে। পাশাপাশি স্কুল, কলেজ খুলে যাওয়ায় শিশুদের ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।

তৃতীয় ঢেউ মোকাবেলার প্রস্তুতি সম্পর্কে ডা. সুধা রাও বলেন, হাসপাতালগুলোতে বড়দের জন্য কোভিড কেয়ার রয়েছে। কিন্তু এখন থেকেই পেডিয়াট্রিক কেয়ার বিষয়ে ফোকাস করতে হবে। বয়স্ক মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে সমস্যা কম। কেউ যদি অক্সিজেন বেড বা আইসিইউ বেডে থাকেন তা হলে চব্বিশ ঘণ্টা অ্যাটেন্ডেন্ট লাগে না। কিন্তু কোনো কোভিড আক্রান্ত শিশু অক্সিজেন বেডে বা আইসিইউতে থাকলে সে সব সময়ে তার বাবা-বা মাকে পাশে চাইবে। সুতরাং বাবা-মায়েদের টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করতে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বর্তমানে টিকার ঘাটতি রয়েছে। তাই ধরা যাক, যেসব শিশুর পিতা-মাতার টিকা নেওয়া হয়নি, পেডিয়াট্রিক কেয়ারে শিশুদের পাশাপাশি তাদেরও সমান খেয়াল রাখা গুরুত্বপর্ণ। তাদেরও নজরদারি করতে হবে এবং দেখাশোনায় একজন চিকিৎসক থাকতে হবে।

শিশুদের ওষুধ ব্যবস্থাপনা, মাঝারি অসুস্থ শিশুদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, গুরুতর অসুস্থ হওয়া থেকে তাদের রক্ষা করা, গুরুতর অবস্থা চিহ্নিত করা- এসব বিষয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের এখন থেকেই প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি বলে জানান তিনি। সূত্র:রাইজিংবিডি।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION