সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

বেইলি রোড ট্র্যাজেডি: নিহত উখিয়ার কাস্টমকর্মকর্তা, স্ত্রী ও সন্তানের জানাজা শেষে দাফন

সাজন বড়ুয়া সাজু:

ঢাকার বেইলি রোড ট্র্যাজেডিতে কক্সবাজারের উখিয়ার একই পরিবারের নিহত তিনজনের জানাজা শেষে গ্রামের কবস্থানে দাফন করা হয়েছে।

আজ রবিবার বেলা এগারোটায় উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাদের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজে অংশ নেয় কয়েক হাজার মুসল্লী।জানাজার নামাজ শেষে বাড়ির একটু দূরে পশ্চিম মরিচ্যা জামে মসজিদের পাশের পারিবারিক কবর স্থানে তাদের দাফন করা হয়।

নিহতরা কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম মরিচ্যা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবুল কাশেমের পুত্র ও কাস্টম কর্মকর্তা শাহ জালাল উদ্দিন, স্ত্রী মেহেরুন নেসা হেলালী এবং একমাত্র মেয়ে ফাইরুজ কাশেম জামিলা (৪)।

নিহত শাহা জালাল উদ্দিন সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জে কাস্টমস অফিসে কর্মরত ছিলেন।

এর আগে গতকাল শনিবার সকাল ১০ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহ ৩ টি গ্রহণ করেছেন নিহত শাহ জালাল উদ্দিন ভাই শাহজাহান সাজু। এরপর মরদেহবাহী গাড়ি নিয়ে তিনি ঢাকা থেকে মরিচ্যা গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে গভীর রাতে বাড়িতে পৌছান। শনিবার রাতে তাদের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসলে এলাকায় এক হ্নদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। শোকে বিহ্বল হয়ে পড়ে শাহ জালালের পিতা মাতা ও তার আত্মীয় স্বজন।

সন্তান হারিয়ে অনেকটা নির্বাক মুক্তিযোদ্ধা পিতা আবুল কাশেম। কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি জানান ৫ ভাই এক বোনের মধ্যে শাহ জালাল উদ্দিন তৃতীয়। ২০১৭ সালে কাস্টমসের চাকুরিতে যোগদান করেন। বর্তমানে নারায়নগঞ্জ জেলার পানগাঁও কাস্টমস অফিসে কর্মরত তিনি। প্রতিদিন পিতার সাথে ৩-৪ বার ফোনে কথা বলেন। বৃদ্ধ পিতার চিকিৎসা ওষুধ সেবনের জন্য তাড়া দেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টার পর পিতার সাথে সর্বশেষ কথা বলেছিলেন শাহ জালাল উদ্দিন।তিনি বলেন, ‘শাহ জালাল উদ্দিন পিতাকে জানিয়ে ছিলেন, টানা ৩ দিনের ছুটি পাওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে খাগড়াছড়ি ভ্রমনে যাচ্ছেন। ঢাকায় শ্যালিকার মেডিকেল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে শাশুড়-শাশুড়ি এসেছেন। তাদের সাথে দেখা করেই বাসে উঠে যাত্রা দেবেন।’

এরপর থেকে আর কোন ফোন পাননি পিতা। পিতা ধারণা করেছিলেন ছেলে, বউ, নাতিনীকে নিয়ে খাগড়াছড়ি গেছেন।

তিনি বলেন, বেইলি রোডের অগ্নিকান্ডের ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পর কক্সবাজার কাস্টমস অফিসের ভাইয়ের এক সহকর্মী ফোন করে জানান ফেসবুকে অজ্ঞাত পরিচয়ে যে কয়েকজনের মরদেহ দেখা যাচ্ছে যেখানে ভাবী ও মেয়ের ছবি দেখা যাচ্ছে। ভাইয়ের বিষয়টি জানেন না। তারপর থেকে পরিবারের পক্ষে যোগাযোগ করার পর শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে শাহজালালের শাশুড় ইঞ্জিনিয়ার মোক্তার হোসেন হেলালী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে গিয়ে ৩ জনের মরদেহ শনাক্ত করেন।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION