শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

রোজাদারদের যে পরামর্শ মেনে চলা জরুরি

ধর্ম ডেস্ক:
রমজান মাসে ধর্মীয় বিধি বিধানের পাশাপাশি দৈনন্দিন কাজ সুষ্ঠুভাবে করার জন্য স্বাস্থ্য ঠিক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সে কারণেই পুষ্টিবিদরা বলছেন দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পর সাহরি ও ইফতারে সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

রোজায় একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ স্বাস্থ্য ঠিক রেখে রোজা রাখতে হলে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম থেকে যেমন বিরত থাকতে হবে তেমনি সহজে হজম হয় এমন খাবার খেতে হবে। কোনভাবেই বেশি খাওয়া উচিত না।

পুষ্টিবিদরা বলছেন রোজার মধ্যে পানি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া উচিত, বিশেষ করে বিশুদ্ধ পানি ও ফলের রসই বেশি উপকারি।

বাংলাদেশে রোজা পালনকারীদের জন্য পুষ্টিবিদদের কিছু পরামর্শ দেওয়া হল এখানে

রোজাদার সন্তানের সাহরি ও ইফতাররোজাদার সন্তানের সাহরি ও ইফতার
১. ভাজাপোড়া খাবার বাদ
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাহরিতে মাছ ডাল ভাত আদর্শ খাবার। এছাড়া গরুর মাংসের বদলে মুরগী খেলে ভালো। তবে শাক সবজি ও ডাল শরীরের জন্য ভালো হবে। যেটি রোজাদারকে বুঝেশুনে খেতে হবে, যেটা ক্ষতিকর মনে হবে সেটিকে এড়াতে হবে।

২. খাদ্য তালিকায় কী থাকবে?
পানি, ফল, চিড়া, রুটি, ভাত, সবজি, ডাল, ডিম, হালকা খিচুড়ি খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া ঘরে তৈরি হালিম শরীরের জন্য উপকারী হবে। এটি শক্তি বাড়ায় বলছেন পুষ্টিবিদরা।

৩. নিয়মিত খাবারে গুরুত্ব
পুষ্টিবিদরা বলছেন, সাধারণত একজন মানুষ নিয়মিত যেসব খাবার খান রোজার সময়েই সেগুলোই তার জন্য যথেষ্ট। তবে সারাদিন রোজা পালন শেষে পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত। আর বেশি গরম পড়লে আরও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

৪. শারীরিক পরিশ্রম কমানো
রোজার সময় অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম সমস্যার কারণ হতে পারে। একেবারে অলস থাকাও যেমন ক্ষতিকর তেমনি অতিরিক্ত পরিশ্রমও ক্ষতিকর হবে। রোজা রেখে ভারী ব্যায়াম করা মোটেই উচিত না। তাই এসব বিষয়ে সাবধান হতে হবে। এতে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়বে। তাই এসব বিষয়ে সাবধান হতে হবে।

৫. সহজপাচ্য খাবার
বিশেষজ্ঞরা বলছেন রোজা পালনকারী ব্যক্তিকে বুঝতে হবে কোন খাবার গুলো তার সহজে হজম হয়। এসব খাবারকেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। যেসব খাবার হজমে সমস্যা করে সেগুলো না খাওয়াই ভালো। কারণ রোজার সময় শরীরের এনজাইম যা হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয় সেটি বন্ধ থাকে।

৬. বেশি খাবার না খাওয়া
গরমে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নগরমে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন

সারাদিন রোজা পালনের পর ইফতারে একবারে অনেক খাবার খেলে সেটি ক্ষতিকর হতে পারে। তাই কোনভাবেই অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা। বরং ফল ও সবজি দিয়ে পরিমাণ মতো ইফতার করা যেতে পারে। ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত ধাপে ধাপে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

৭. খাবার কিভাবে খাবেন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন খাবার ধীরে এবং ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে। তবে ইফতারির শুরুতেই পানি শরীরের জন্য উপকারী। পাশাপাশি খেজুর শক্তি যোগাতে ভূমিকা রাখে। এছাড়া রোজার সময় সারাদিন পর স্যুপ শরীরকে সতেজ করতে পারে এবং খাবার হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখতেও এটি কাজে লাগে। শাক সবজি, ফুলকপি বা লেটুস পাতার স্যুপ অনেক উপকারী। আর গাজর খেলে সেটি হালুয়া বানিয়ে অল্প খাওয়া যেতে পারে।

৮. সঠিক জীবনযাপন
রোজাতে শুধু খাবারই নয়, বরং এর পাশাপাশি প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম। আর কঠিন শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। ইফতারের পর বা সেহেরীর পর ধূমপান থেকেও বিরত থাকা উচিত।

৯. যারা ঔষধ সেবন করেন তারা রোজা করবেন কিভাবে?
রমজানে যারা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা কিডনি জটিলতায় ভুগছেন তাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। এসব বিষয়ে সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে রোজা রেখেও ঔষধ সেবন করা সম্ভব। কারণ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইফতার থেকে সেহরির সময়ে ঔষধ সেবন করা যায়।

সূত্র: বিবিসি বাংলা/ভযেস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION