রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:০৭ অপরাহ্ন
লাইফস্টাইল ডেস্ক:
‘‘চর্বি জমে গেলে রক্তের ভেতর প্রবেশ করে- রক্তের গ্লুকোজ আর কোলেস্টেরলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।’’ – এমনটাই মনে করেন চিকিৎসকেরা। কনটিনেন্টাল হসপিটালের তথ্য ‘‘দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা এবং দ্রুত হাঁটার মতো দৈনন্দিন অভ্যাস পেটের চর্বি পোড়াতে সাহায্য করতে পারে।’’
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ চর্বি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান। তবে চর্বি কমলে শুরুর দিকে ওজন নাও কমতে পারে। কিন্তু চর্বি কমা শুরু হওয়া মাত্র শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন শুরু হয়ে যায়। যেমন কোমর, পেট, ঊরু সরু হতে শুরু করে, ফলে পোশাকগুলো ঢিলে মনে হয়। এটি চর্বি কমার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি। এ ছাড়াও আরও কিছু লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবেন মেদ বা চর্বি কমতে শুরু করেছে।
ওজন হ্রাস
যদি স্বাস্থ্যকর উপায়ে চর্বি কমানোর চেষ্টা করা হয়, তবে ধীরে ধীরে শরীরের ওজন কমতে শুরু করে। শরীর হালকা লাগে।
শরীরের গঠন পরিবর্তন
আয়নায় নিজেকে দেখতে ভিন্ন মনে হতে পারে। শরীরের কিছু অংশ দৃঢ় হতে পারে।
বেশি শক্তি অনুভব করা
শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমতে শুরু করলে শারীরিক শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়তে পারে। প্রতিদিনের কাজকর্মে ক্লান্তি কম অনুভূত হতে পারে।
হজমের উন্নতি
চর্বি কমলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হতে পারে এবং পেট ফাঁপা ভাব কমতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি
চর্বি কমার ফলে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এবং সামগ্রিক মেজাজ ভালো থাকে।
ঘুমের মান বৃদ্ধি
শারীরিক পরিশ্রম এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কারণে রাতের ঘুম ভালো হতে পারে।
এই পরিবর্তনগুলো সাধারণত রাতারাতি হয়। স্বাস্থ্যকর ও দীর্ঘস্থায়ীভাবে চর্বি কমানোর জন্য ধারাবাহিকতা এবং ধৈর্য গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য, শরীরের চর্বি পরিমাপ করতে চাইলে ক্যালিপার পরীক্ষা, হাইড্রোস্ট্যাটিক ওজন, DEXA স্ক্যান বা বায়োইলেক্ট্রিক্যাল ইম্পিডেন্স বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। জিমনেশিয়াম বা স্বাস্থ্য ক্লাবগুলোতে এধরনের পরীক্ষা করার সুবিধা পাওয়া যায়।
ভয়েস/আআ