সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

‘আমি ভাগমু না ভাই, আমি ভাগমু না’

স্থানীয়দের হাতে আটকের পর রায়হান হত্যার অভিযুক্ত বরখাস্ত হওয়া এসআই আকবর

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

‌‘আমি ভাগমু না ভাই, আমি ভাগমু না।’ হাত-পা না বাঁধার জন্য এভাবেই আকুতি জানাচ্ছিলেন সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান আহমদ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া। সোমবার (৯ নভেম্বর) সিলেট জেলা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তাকে সীমান্ত এলাকা থেকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। স্থানীয়রা যখন তাকে আটক করে হাত-পা বাঁধছিল, তখন আকবর পালিয়ে যাবে না বলে স্থানীয়দের জানায়।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান জানান, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পথে কানাইঘাটের ডনা সীমান্ত থেকে জেলা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

এদিকে স্থানীয়দের হাতে আকবরের আটক হওয়ার কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এসব ভিডিওর একটিতে আকবরকে বসিয়ে রেখে হাত-পা বাঁধছিলেন স্থানীয়রা। এ সময় আকবর বলছিল, ‘আমি ভাগমু না ভাই, আমি ভাগমু না।’

তখন স্থানীয়দের একজন তার নাম জানতে চাইলে সে বলে, ‘আমি আকবর।’ তখন স্থানীয়রা বলাবলি করতে থাকে, ‘১০ হাজার টাকার জন্য তুমি মানুষ মারছো’, ‘তুমি রায়হানরে হত্যা করছো’। তবে আকবরকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি মারি নাই, আমি হাসপাতালে নিয়া গেছি’।

এ সময় আকবরের বেশভূষা ছিল অনেকটা স্থানীয়দের মতোই। গলায় পুতির মালা, খয়েরি রঙের শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা ছিল সে। খোঁচা খোঁচা দাড়িতে তাকে স্থানীয়দের মতোই লাগছিল।

স্থানীয়রা পরে তাকে হাত ও পা বেঁধে হাঁটিয়ে পাহাড় ও জলাভূমি পার করে নিয়ে আসে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে পানির বোতল দেয় এবং যারা তাকে নিয়ে আসছিল তাদের আকবরকে না মারার পরামর্শ দিতেও শোনা যায়।

অপর একটি ভিডিওতে আকবরকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি খুনি না, আমি মারিনি। ইচ্ছা করে মারিনি। আমি একা মারিনি, পাঁচ-ছয় জন তাকে মেরেছে। আমি তো হাসপাতালে নিয়া গেছি। সেখানে সে মারা গেছে।’

আকবরকে বলতে শোনা যায়, ‘সে (রায়হান) ছিনতাই করেছিল, তাকে পাবলিকে মারছে। আমি তো হাসপাতালে নিয়া গেছি।’

এ সময় স্থানীয়রা তাকে প্রশ্ন করে, তাহলে তুমি পালালে কেন। তখন আকবর বলে, ‘আমার দুই সিনিয়র আমাকে বলেছে, যেহেতু সাসপেনশন হয়েছো, আপাতত পালিয়ে যাও। দুই মাস পর ঠান্ডা হলে এসো। তখন বিষয়টা হ্যান্ডেল করা যাবে।’

অপর এক ভিডিওতে দেখা যায়, পেছনে হাত বাঁধা অবস্থায় আকবর দাঁড়িয়ে থেকে স্থানীয়দের কাছে আকুতি জানিয়ে বলছে, ‘তোমরা বলো আমাকে মারবা না, বলো ভাই আমাকে মারবা না।’

তখন স্থানীয়রা বলতে থাকে, ‘না বসো, তোমাকে মারবো না। তোমার লাখান আমরা মারবো না।’ এ সময় আরেকজনকে বলতে শোনা যায়, ‘চুপচাপ বসো, নয়তো নিচে ফেলে দেবো’।

এদিকে সিলেট পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার খালেকুজ্জামান জানান, পুলিশের একটি দল তাকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে। রায়হান হত্যাকাণ্ডের ২৮ দিন পর তাকে গ্রেফতার করা হলো।

পুলিশ হেফাজতে ১১ অক্টোবর নগরীর আখালিয়া এলাকার যুবক রায়হান আহমদ মারা যাওয়ার ঘটনায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) এসআই আকবরসহ চার জনকে সাময়িক বহিষ্কার এবং তিন জনকে প্রত্যাহার করা হয়। বরখাস্তদের মধ্যে রয়েছেন–কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ ও টিটু দাস। প্রত্যাহার হওয়া তিন জন হলেন−এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজীব হোসেন। সূ্ত্র:বাংলাট্রিবিউন।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION