EDITOR
- ১৬ জুলাই, ২০২১ /
ভয়েস প্রতিবেদক,পেকুয়া:
পেকুয়ায় র্যাবের অভিযানে গত কয়েকমাস আগে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়েছেন বহু মামলার আসামী বনের রাজাখ্যাত ডাকাত জাহাঙ্গীর আলম। দীর্ঘ কয়েকবছর ধারাবাহিক অপরাধের কারণে তার বাহিনীর কাছে জিম্মী ছিল পাহাড়ি এলাকার সাধারণ জনগণ। বিষয়টি মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
তার বিশাল এ সন্ত্রাসী বাহিনী যখন নেতার শূন্যতায় ভূগছিলের তখনই এগিয়ে আসেন তার চাচা বহু মামলার আসামী জাবের। আগে থেকেই জাহাঙ্গীরের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে অপরাধীদের নেতৃত্বে দক্ষ হয়ে ওঠেন। যার কারণে জাহাঙ্গীর কারাগারে গেলেও অপরাধী ও অপরাধ কর্মে নিয়ন্ত্রণ নিতে তেমন অসুবিধা হয়নি।
ইতোমধ্যে বাহিনীর সকল সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ করে ভারপ্রাপ্ত বনের রাজা হিসাবে ঘোষণা দেন। তারপর শুরু করেন অসহায় লোকদের উপর নির্যাতন, বসতভিটা থেকে তাড়িয়ে দেয়া, চুরি ও ছিনতাইয়ের মত ঘটনা। এমনকি বাহিনীতে মহিলা সদস্য নিয়োগ দিয়ে তাদের হাতে ধরিয়ে দেন কিরিচ। কেউ জাবেরের অপরাধ কর্মের প্রতিবাদ করলে এ মহিলা সদস্যরা কিরিচ নিয়ে তাড়া দেন অসহায় লোকদের। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন পাহাড়ে বসবাসকারী সাধারণ জনগণ।
জনগণের আতংক এ রাজা পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের লাইনের শিরা (সাবেক বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী) এলাকার মৃত ডাকাত নজির আহমদের ছেলে।
বারবাকিয়া-টইটং সীমান্তে বসবাসকারী মৃত এজাহার মিয়ার ছেলে নরুল হোসাইন বলেন, আমার বসতভিটা জবর দখল করার জন্য জাবেরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা শুরু করে। তাদের বাহিনীর মহিলা সদস্যেরা প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেন। এক পর্যায়ে আমাকে কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। বর্তমানে তাদের হুমকির কারণে বসতভিটা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। এমনকি আমাদেরকে মারধর করে আহত করার পর বসতভিটা দখল নিয়ে বর্তমানে তাদের কোন লোককে তারা নিজেরা আঘাত করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। আমি পরিবার পরিজন নিয়ে ভয়ে আতংকে দিন যাপন করছি।
জাবেরের নির্যাতন আর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছে মুন্সি মিয়া, সিরাজ খাতুন, হাজেরা খাতুন, ফরিদ ও শফিউল্লাহ। তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে বসতভিটা থেকে। বাড়িতে ফিরলে তাদেরকে প্রাণে হত্যা করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। ঠিক তাদের মত বারবাকিয়া-টইটং সীমান্তে শতাধিক অসহায় পরিবার তার কাছে জিম্মী হয়ে চাঁদা দিয়ে বসবাস করছে। চাঁদা না দিলে মারধর করে লুট করা হয় বসতভিটার মালামাল ও গৃহ পালিত গরু ছাগল।
এছাড়াও বনের রাজাখ্যাত জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে রুজুকৃত মামলার বাদী রহিমদাদ ও তার ছেলেদের কাছে বারবার খবর দিচ্ছেন মামলা প্রত্যাহার না করলে নেজামকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে ঠিক সেইভাবে হত্যা করবে। তারাও আতংকের মধ্যে দিন যাপন করছেন।
স্থানীয়দের দাবী এ অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার করে পাহাড়ে বসবাসকারী অসহায় মানুষদের শান্তি প্রতিষ্ঠা করা হউক।
ভয়েস/আআ