বুধবার, ০৯ Jul ২০২৫, ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
শহর গ্রামে বেড়েছে চোরের উপদ্রব মহেশখালীর সব্বির আহমেদ, আব্দুল জলিল ও মৌলানা ইলিয়াসের মৃত্যুতে ডক্টর হামিদুর রহমান আযাদের শোক হোয়াইট হাউসের ধন্যবাদ পেল পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ‘ভালো’ বলা পর্যবেক্ষকদের আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষণে না নেয়ার ইঙ্গিত সিইসির এসএসসির ফল প্রকাশ ১০ জুলাই দুপুর ২টায় প্রধান উপদেষ্টা ও তাসনিম জারাকে নিয়ে কটুক্তিকারী মেকানিক রেজাউল বরখাস্ত হিমছড়ি সৈকতে গোসল করতে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু কক্সবাজারে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি পালিত টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজারে অর্ধশতাধিক গ্রামে জলাবদ্ধতা: দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ সময় থাকতে যত্ন নিন দাঁতের

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিদর্শন জাতিসংঘের মিয়ানমার বিশেষ দূত

রোহিঙ্গা,ফাইল ছবি

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রতিনিধি ও মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে মিশন শুরু করেছেন। সরেজমিনে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের বিষয়ে জানতে সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে পৌঁছান তিনি। এক সপ্তাহের সফরে তিনি বাংলাদেশে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক ছাড়াও কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন বলে জানানো হয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে বিষয়টি স্বীকার করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) সামছুদ্দৌজা বলেন, ‘মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। তবে তিনি কবে এবং কোন ক্যাম্প ঘুরে দেখবেন সেটি এখন বলা সম্ভব না। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’

এদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, টম অ্যান্ড্রুজ দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে তার মিশন শুরু করেছেন। ১৩ থেকে ১৯ ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশে অবস্থান করবেন। এক সপ্তাহের সফরে তিনি বাংলাদেশে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক ছাড়াও কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন। বাংলাদেশ সফরের বিস্তারিত ২০২২ সালের মার্চে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে উপস্থাপন করবেন।

তবে সোমবার এক বিবৃতিতে টম অ্যান্ড্রুজ বলেন, ‘বিশ্বের ভুলে গেলে চলবে না যে, প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যার মুখে জীবন নিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন। যখন পরিস্থিতি নিরাপদ, সম্মানজনক ও টেকসই হবে তখন রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাবেন। এর বাইরে আমরা বেশি কিছু চান না। যখন মিয়ানমারের জান্তা পদ্ধতিগতভাবে দেশটির মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে, তখন মিয়ানমার থেকে বাড়িঘর ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়া রোহিঙ্গাদের প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ। আমি এসব রোহিঙ্গাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়ে সম্মানিত।’ বাংলাদেশ সফরের সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান টম অ্যান্ড্রুজ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি, জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এ দূত। বাংলাদেশ ছাড়ার আগে ১৯ ডিসেম্বর দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করবেন তিনি।

এর আগে, ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘে মিয়ানমারের বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ইয়াংহি লি। বারবার অনুমতি চাইলেও মিয়ানমারে প্রবেশ করতে পারেননি তিনি। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে বৈঠকও করতে পারেননি। তবে তিনি কয়েক দফা বাংলাদেশ সফর করে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।

টম অ্যান্ড্রুজের ক্যাম্প পরিদর্শনের বিষয়ে টেকনাফের নতুন লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরের নেতা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা আশা করছি, তিনি ক্যাম্প ঘুরে যাওয়ার পর রোহিঙ্গাদের গণহত্যার বিচার এবং অধিকার নিয়ে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি বিশ্বের কাছে তুলে ধরবেন। আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি অব্যাহত রাখবেন।’

‘বিশেষ দূতের ক্যাম্পে আসার বিষয়টি রোহিঙ্গাদের জন্য খুবই গুরুত্ব বহন করে’ উল্লেখ করে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা কিন মং বলেন, ‘তিনি মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছেন এবং কীভাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে তা সরেজমিন জেনে আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরতে পারবেন। আমরা আশা করছি, নতুন করে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হবে। এতে করে প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার একটি পথ বের হবে। তা ছাড়া বিশেষ দূতের কাছে রোহিঙ্গারা তাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচার ও দুঃখের কথা তুলে ধরতে পারবেন।’

মিয়ানমারের সেনাদের নির্যাতন থেকে প্রাণে বাঁচতে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে বসবাস করছেন। এদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নৃশংস অভিযানের সময়ে পালিয়ে এসেছিলেন। শরণার্থীদের চাপ কমাতে দুই বছর আগে অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার। বর্তমানে সেখানে প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করছেন।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION