শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বিশ্বজুড়ে অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকেও ৩ গুণ সংক্রামক এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এমনই দাবি করেছেন গবেষকরা। নতুন করে করোনা ওয়েভের আশঙ্কায় প্রহর গুণছে বিশ্ববাসী। এই পরিস্থিতিতে সুখবর শোনাল মার্কিন সংস্থা ফাইজার। তাদের তৈরি ট্যাবলেট করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রণ ঠেকাতে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। প্রায় ১২০০ ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর উপর পরীক্ষা চালিয়ে এই রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন তাঁরা।
গবেষকরা যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন তাতে জানানো হয়েছে, এই ট্যাবলেট ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তির হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে। এমনকি প্রাণ সংশয়ের ঝুঁকিও কমিয়ে দিতে পারে বলে জানানো হয়েছে। ১০০০ জন রোগীর উপর এই ট্যাবলেট প্রয়োগ করে দেখা গিয়েছে তাঁদের প্রাণ সংশয়ের ঝুঁকি কমিয়ে দিয়েছে এই ওষুধ।
পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ওমিক্রন আক্রান্ত যেসব ব্যক্তির উপর এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে তাঁদের করোর মৃত্যু হয়নি। উল্টে সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে তাঁদের। প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমিতদের হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি অনেকটাই কমে গিয়েছে এই ওষুধের ব্যবহারে। অনুমোদন পেলে এই বড়ি ‘প্যাক্সলোভিড’ নামে বাজারজাত করা হবে।
করোনা চিকিত্সায় ফাইজারের বড়ির এই কার্যকারিতাকে ‘চমকপ্রদ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মিকায়েল ডলস্টেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশাল সংখ্যক জীবন বাঁচানো এবং হাসপাতালে ভর্তি ঠেকানোর কথা বলছি। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ওষুধটি দ্রুত দেওয়া হলে, অবশ্যই আমরা নাটকীয়ভাবে সংক্রমণ কমিয়ে আনতে পারব।’
করোনা চিকিত্সায় ফাইজারের বড়ির এই কার্যকারিতাকে ‘চমকপ্রদ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মিকায়েল ডলস্টেন। করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ও অন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো শিগগিরই ফাইজারের বড়ির অনুমোদন দেবে বলে মনে করছেন মিকায়েল ডলস্টেন।
জরুরিভিত্তিতে ফাইজারের করোনার বড়ি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে গত মাসেই এফডিএর কাছে তথ্য জমা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ বিষয়ে শিগগিরই এফডিএ সিদ্ধান্ত নেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠানের করোনার বড়ি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
ভয়েস/আআ