বুধবার, ০৯ Jul ২০২৫, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
শহর গ্রামে বেড়েছে চোরের উপদ্রব মহেশখালীর সব্বির আহমেদ, আব্দুল জলিল ও মৌলানা ইলিয়াসের মৃত্যুতে ডক্টর হামিদুর রহমান আযাদের শোক হোয়াইট হাউসের ধন্যবাদ পেল পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ‘ভালো’ বলা পর্যবেক্ষকদের আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষণে না নেয়ার ইঙ্গিত সিইসির এসএসসির ফল প্রকাশ ১০ জুলাই দুপুর ২টায় প্রধান উপদেষ্টা ও তাসনিম জারাকে নিয়ে কটুক্তিকারী মেকানিক রেজাউল বরখাস্ত হিমছড়ি সৈকতে গোসল করতে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু কক্সবাজারে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি পালিত টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজারে অর্ধশতাধিক গ্রামে জলাবদ্ধতা: দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ সময় থাকতে যত্ন নিন দাঁতের

ভাসানচরের পথে আরও ৪০০ রোহিঙ্গা

ভয়েস প্রতিবেদক:

কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে নবম দফায় স্বেচ্ছায় যেতে ইচ্ছুক ৪১৪ জন রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাসনচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। বুধবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে ২টার দিকে (প্রথম অংশে) উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠ থেকে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে আটটি বাসে চট্টগ্রামে রওনা দেয় তারা। এর আগে সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তায় রোহিঙ্গারা উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে নিয়ে আসে।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ সামছু-দৌজা জানান, এবার চার শতাধিক রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে রওনা দিয়েছে। আরও কিছু রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাওয়ার জন্য রাজি হয়েছে। তাদেরকেও পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের ভাসানচরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

ভাসানচরে অবস্থানরত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধি (সিআইসি) জহিরুল ইসলাম বলেন, সব মিলিয়ে কতজন রোহিঙ্গা এবার ভাসানচরে আসছে বলা মুশকিল। এখানে পৌঁছানোর পর নিজ সেন্টারে তুলে দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।

গত বছরের ডিসেম্বর থেকে অষ্টম দফায় ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানো হয়। এ ছাড়া গত বছরের মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে রাখা হয়েছে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

৮-এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন জানান, নবম দফায় প্রায় ২০০ রোহিঙ্গা এবার ভাসানচরে যেতে রাজি হয়েছে। তাদের মধ্যে একটি অংশ যাত্ো করেছে। বাকিদের পাঠানো প্রক্রিয়া চলছে।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সেনাদের হাত থেকে বাঁচতে রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। তাদেরকে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরগুলোতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগই ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নৃশংস অভিযানের সময়ে পালিয়ে এসেছিল। শরণার্থীদের চাপ কমাতে দুই বছর আগে অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION