শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্কঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকার করেছেন জাপানী তোমাকিই বায়ো লিটিমেটেড, তোমাকিই ইন্ডাসট্রিয়াল কোপানি লিমিটেড ও ওকোহামা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তারা।
সোমবার বেলা ১১ টায় (১৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে এ সৌজন্য সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ ও পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মারুফ হক খান, জাপানী প্রতিনিধি দলের পক্ষে ওকোহামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মেহরুবা, তোমাকিই ইন্ডাসট্রিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের নির্বাহী ব্যবস্থাপক নাকাহার সন্তোষী, তোমাকিই বায়ো লিটিমেটের জেনারেল ম্যানেজার ইমাই জুনইয়া উপস্থিত ছিলেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উভয় দেশের ঐতিহ্য, পারস্পারিক সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের অতীত ইতিহাস উঠে আসে। উভয় দেশের চিকিৎসা উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের সাথে জাপানের দীর্ঘকালের বন্ধুত্ব। জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গী। জাপান সরকারের সহায়তায় বর্তমানে দেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের মেট্রোরেল চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। গাজীপুর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত দ্বিতীয় মেট্রোরেলও জাপানের সহায়তায় নির্মাণ হবে।
জাপান ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ক্লিনিকাল ট্রায়ালসহ নানাবিধ বিষয়ে গবেষণা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। তবে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেলে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ সংশ্লিষ্ট বিভাগ নিয়ে জাপানের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানান।
জাপান প্রতিনিধি দলের সাথে আলাপকালে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের কারণে ২০৫০ সালে করোনাভাইরাসের চেয়ে বেশী সংকটে পড়বে দেশ। মাত্রাতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে আগামী ২০৫০ সালে দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর চেয়ে দ্বিগুণ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। সকলের স্বার্থে মাত্রা অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার রোধ করতে হবে। যততত্র এন্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে হবে। রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া যাতে কোন ফার্মাসী এন্টিবায়োটিক ঔষধ বিক্রি করতে না পারে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গকে এগিয়ে আসতে হবে।
ভয়েস/আআ