শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ অপরাহ্ন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের নগরী কক্সবাজার। প্রতি মৌসুমে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটে এ সৈকতে। তারই প্রেক্ষিতেস বিভিন্ন রকমের খাবারের পসলা সাজিয়ে বসে স্ট্রিট ফুড ভেন্ডর বা ভ্রাম্যমাণ খাদ্য বিক্রেতারা। এসব খাদ্য নিরাপদ করতে তাদের প্রশিক্ষণের আওতায় এনেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে পর্যটনের হোটেল শৈবালের হল রুমে আয়োজন করা হয় এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার। যেখানে অংশ নেন পর্যটন শহরের অন্তত ৬০ জন স্ট্রিট ফুড ভেন্ডর বা ভ্রাম্যমাণ খাদ্য বিক্রেতা। যার মধ্যে বেশ কয়েকজন নারীও রয়েছেন।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সচিব আব্দুন নাসের খানের সভাপতিত্বে ট্যুরিজম বোর্ডের সহকারী পরিচালক মো. বোরহান উদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অতিরিক্ত সচিব ও পরিচালক আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ) মো. নাসিম আহমেদ, ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুজ্জামান।
কর্মশালায় ৬০ অংশ গ্রহনকারীকে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে খাবার বিক্রির উপর নানা দিক-নির্দেশানা মূলক প্রশিক্ষণ দেন জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার ফার্জিয়া হক, ট্যুও অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. রেজাউল করিম রেজা, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক জেবি দাস।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, স্ট্রিট ফুড ভেন্ডর বা ভ্রাম্যমাণ খাদ্য বিক্রেতাদের কাছ থেকে খাবার কিনে খায়নি এমন মানুষ খোঁজে পাওয়া যাবে না। কেউ যেমন শখের বশে বিভিন্ন রকম মুখরোচক খাবার তাদের কাছ থেকে কেনেন আবার অনেকে ভ্রাম্যমাণ খাদ্য বিক্রেতাদের ওপর নির্ভর করেন তাদের প্রতিদিনের বাজারের জন্য।
কিন্তু অনেক ভ্রাম্যমাণ খাদ্য বিক্রেতাদের মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে খাদ্য বিক্রির ক্ষেত্রে দুর্বলতা দেখা যায়। তাই পর্যটন নগরীতে নিয়মিত এসব ভ্রাম্যমাণ খাদ্য বিক্রেতাদের কার্যক্রমের উপর নজরদারি বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে তাদের নানা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে খাবার বিক্রির জন্য উদ্ভোদ্ধ করা হবে।
ভয়েস/আআ