শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন
ভয়েস ডেস্ক:
গত কয়েকদিন ধরে প্রতিবাদের পরও থেমে নেই রাজধানীর কলাবাগান তেঁতুলতলা মাঠে থানা নির্মাণ কাজ। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পুলিশ সদস্যরা মাঠে অবস্থান করছেন। নির্মাণ কর্মীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে পুলিশ সদস্যরা জানান, ওপরের নির্দেশ অনুযায়ী তারা এখানে অবস্থান করছেন এবং তদারকি করছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে কলাবাগান থানার ১৫ জন পুলিশ সদস্যকে তেঁতুলতলা মাঠে অবস্থান এবং নির্মাণ কাজ তদারকি করতে দেখা গেছে। এখন তেঁতুলতলা মাঠ কম্পাউন্ডে দেয়াল নির্মাণের কাজ চলছে। রাস্তার পাশে রাখা হয়েছে বালি-ইট-সুড়কি। দেয়াল নির্মাণের জন্য রডের ভিম করে রাখা হয়েছে। পরে দেয়াল নির্মাণের জন্য বালি সুড়কি মিকসড করে তৈরি করা হবে দেয়াল।
তেঁতুলতলা মাঠে থানা নির্মাণের বিরোধিতা করছেন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, এখানে থানা নির্মাণ হলে ছেলেমেয়েরা খেলার জন্য কোনও জায়গা পাবে না। আর আশেপাশে কোনও মাঠ নেই, যেখানে ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করতে পারে। তেঁতুলতলা মাঠে থানা স্থাপন হলে ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা কিংবা দৌড়াদৌড়ি করা থেকে বঞ্চিত হবে।
দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তারা। তবে কী কারণে তাদের এখানে রাখা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ সদস্য বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আমরা এখানে রয়েছি। আর বেশি কিছু বলতে পারবো না। আমরা এসব বিষয় তদারকি করছি। যেকোনও বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমরা নজর রাখছি।
মাঠ রক্ষার আন্দোলনে থাকা সৈয়দা রত্না গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। আমি আশাবাদী, এই মাঠটি রক্ষা পাবে। এই মাঠ রক্ষা পেলে আমার আন্দোলন সফল হবে।’ মাঠটি খোলামেলা থাকুক, এখানে যেন কোনও স্থাপনা নির্মাণ না হয়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘আমার কিছু চাওয়ার নেই। শিক্ষার্থী কিংবা ছোট বাচ্চারা মাঠে খেলাধুলা করতে পারবে এটাই আমি চাই।’
এক প্রশ্নের জবাবে সেদিনকার ঘটনা এবং থানা হেফাজতে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মাঠ বাঁচাতেই আমি আন্দোলনে নেমেছি। সেদিন আমি যাওয়ার সময় এখানে ইট-বালি-সুড়কি দিয়ে কাজ করা দেখে লাইভ করি। পরে আমাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় আমাকে যে কক্ষে রাখা হয়েছিল, সেটি ছিল অত্যন্ত নোংরা। আর কীভাবে কী হয়েছে, কীভাবে আমি আবার বের হয়ে এসেছি—এ বিষয়গুলো নিয়ে কোনও কথা বলতে চাচ্ছি না।’
ভয়েস/জেইউ।