মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় নিখোঁজের ৪দিন পর আরমানের লাশ উদ্ধার চকরিয়ায় পুকুরে গোসলে নেমে দুই বোনের মৃত্যু জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দল আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তের কাজ শুরু করবে মঙ্গলবার, থাকবে এক মাস বাংলাদেশকে ২০০ একর জমি ফিরিয়ে দিচ্ছে ভারত আওয়ামী লীগ হাতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে ‍না পারলে , জনগণ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবে না।: রিজভী কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিল ঘিরে সংঘর্ষে নিহত ১ পেকুয়ায় লবণ ব্যবসায়ীকে মারধর করে টাকা ছিনতাই উখিয়া ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে ২ যবক নিহত মহেশখালীতে মাংসের দাম অতিরিক্ত রাখায় ৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানা নায়িকারা ছোট কাপড় পরলে চলে, ঘরের বউদের চলে না : গোবিন্দের স্ত্রী

“বৈষম্যের কারণে নারী সাংবাদিকরা তাদের পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছে”

ভয়েস প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের পটভূমিতে রয়েছে বৃহত্তর রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং রোহিঙ্গাদের চলমান পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতির সঙ্গে নিরাপত্তা ইস্যুটি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। এবং প্রথম সোর্স হিসেবে স্থানীয় সাংবাদিক ও যোগাযোগকারীরা এসব তথ্য সরবরাহ করছেন। সংবাদ সংগ্রহে নারী সাংবাদিকদের অবদানও রয়েছে। কিন্তু নানা বৈষম্যের কারণে নারী সাংবাদিকরা তাদের পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সোমবার (২৬ জুন) সকালে আর্টিকেল নাইনটিনের আয়োজনে কক্সবাজারের একটি হোটেলে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংলাপে সাংবাদিকদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এসব তথ্য উঠে আসে।
আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, ‘কক্সবাজারের প্রাসঙ্গিক সাংবাদিকতার পরিবেশ বিবেচনা করে, জাতীয়, আঞ্চলিক বিষয়গুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কীভাবে শরণার্থী বিষয়ক প্রতিবেদন করা যায় তার ওপর বিশেষ মনোযোগ দিয়ে সাংবাদিক এবং যোগাযোগকারীদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকা গুরুত্বপূর্ণ।’
যেহেতু এই শরণার্থী ইস্যুটি দেশের জন্য একটি স্পর্শকাতর ইস্যু, এতে দেখা যায় সাংবাদিকরা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনেক চাপের সম্মুখীন হয়, কক্সবাজারের সাংবাদিকরা প্রধানত যে নারী সাংবাদিকরা এই সমস্যাটি তুলে ধরার জন্য কাজ করছেন তাদের অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
ফেমসোজ প্রকল্পের দক্ষিণ এশিয়ার ফোকাল রুমকী ফারহানা বলেন, ‘কক্সবাজারে নারী সাংবাদিকদের তাদের পেশায় উৎসাহিত করা এবং টিকিয়ে রাখার জন্য সাংবাদিকদের, বিশেষ করে নারী সাংবাদিকদের জন্য কর্মক্ষেত্রের অভ্যন্তরে ও বাইরে সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকতা পেশার প্রথম ধাপ শুরু হয় আর্থিক নিরাপত্তা দিয়ে”। সংলাপে ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার স্থানীয় প্রায় ২৫ জন সাংবাদিক, সম্পাদক তাদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিষয়টি তুলে ধরেন। নারী সাংবাদিকদের পোশাক সম্পর্কে রক্ষণশীল ধারণা এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, বেতন বৈষম্য, কর্মক্ষেত্রের ভেতরে এবং বাইরে বিভিন্ন হয়রানি ও উত্পীড়নসহ নানান বৈষম্যের কারণে নারী সাংবাদিকরা তাদের পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছেন।’
সংলাপের শুরুতে আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার প্রোগ্রাম অফিসার সাবরীনা মমতাজ সবাইকে স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। এসময় কক্সবাজারে কর্মরত পুরুষ ও নারী সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আর্টিকেল নাইনটিন একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। ১৯৮৭ সালে যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মুক্ত চিন্তা নিশ্চিতে কাজ করে আসছে। সংস্থাটি ২০০৮ সাল থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় এর কার্যক্রম শুরু করে।
ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION