সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৪ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

স্বাস্থ্য প্রশাসনে আসছে আরও পরিবর্তন

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই স্বাস্থ্য বিভাগে একের পর এক নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে। প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ এ দুই প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নানা কর্মকান্ড। জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে সরকারও এসবের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। এসব পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই দেখা দেওয়া বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে চলে আসা অস্থিরতা কিছুতেই কাটছে না।

সর্বশেষ এ অস্থিরতা আরও বেড়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।
সর্বশেষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের পদত্যাগের ঘটনায় অধিদপ্তরসহ এর নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা পেয়ে বসেছে। এমনকি গতকাল বুধবার নানাভাবে সমালোচিত অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আমিনুল হাসানকে সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ সবাইকে আরও বেশি ভয় পাইয়ে দিয়েছে। কাকে কখন কী অপরাধে দোষীসাব্যস্ত করা হয়, এ নিয়ে ভয়ে ভয়ে অফিস করছেন সবাই। পাশাপাশি কে হচ্ছেন নতুন মহাপরিচালক, সে নিয়েও চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এমনকি এ নিয়ে আগে থেকেই শুরু হওয়া তদবির আরও গতি পেয়েছে। বিশেষ করে রাজনৈতিকভাবে এ তদবির চলছে সবচেয়ে বেশি।

একই ধরনের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা চলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েও। সবার নজর এখন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দিকে।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদত্যাগের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরানো হবে কি না সে নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। সবাই মনে করছে, রিজেন্ট ও জেকেজি প্রতিষ্ঠানের কিট পরীক্ষা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রতারণা ও কেলেঙ্কারির ঘটনায় অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় উভয়ই দায়ী। সুতরাং অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে সরানোর মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া শুদ্ধ অভিযান মন্ত্রণালয়েও এসে পড়ে কি না, সে নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, শুধু সচিব বা মহাপরিচালক নয়, মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকজন অতিরিক্ত সচিবকে ইতিমধ্যে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদউল্লাহসহ ৮ থেকে ১০ জন বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অতিগোপনে অধিদপ্তরের ১০ থেকে ১২ মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এখন পরিচালক পদমর্যাদার ১৫ থেকে ২০ জন কর্মকর্তা বদলির সিদ্ধান্ত রয়েছে মন্ত্রণালয়ে। অধিদপ্তরের শৃঙ্খলা ফেরাতে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তারা।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা দেখব যেখানে প্রয়োজন পরিবর্তনের, সেখানে পরিবর্তন করা হবে। আমরা চাই স্বাস্থ্য খাত সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা হোক, মানুষ সেবা পাক।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, এ অস্থিরতা শুরু থেকেই চলছে। নানাভাবে চেষ্টা করেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং অধীন সংস্থাগুলোর মধ্যে চলমান সমন্বয়হীনতা ও সিদ্ধান্তহীনতার সমাধান করা যাচ্ছে না। প্রশাসন থেকেও একের পর এক সিদ্ধান্ত আসছে স্বাস্থ্য বিভাগে। শুরুর দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসক বদলি ও কারণ দর্শানো নোটিস দেওয়ার ঘটনা ছিল নিত্যনৈমিত্তিক। এমনও দেখা গেছে, চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় হাসপাতালগুলোকে সকালে দেওয়া নির্দেশ রাতে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এমনকি স্বয়ং স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নানা ধরনের মন্তব্যও বেশ সমালোচিত হয়েছে। এসব কারণে করোনা চিকিৎসা ও পরীক্ষা ঘিরে একটি চক্র নানা ধরনের অনিয়মের সুযোগ পায়। এখন এসবের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। একের পর এক অনিয়ম ও কেলেঙ্কারি প্রকাশ হচ্ছে।

একইভাবে এ অস্থিরতার কারণে করোনা মোকাবিলায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, এখনো করোনার সার্ভিল্যান্স হলো না। করোনার গতিপ্রকৃতি জানা যাচ্ছে না। এমনকি সংক্রমণ হারও অজানা থেকে যাচ্ছে। বিশেষ করে লকডাউনটা ভালোমতো শুরুই করা যাচ্ছে না। বিচ্ছিন্নভাবে লকডাউন করতে গিয়ে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ছে।

অধিদপ্তরের আরেক কর্মকর্তা বলেন, হাসপাতালগুলোতে ‘লাল-হলুদ-সবুজ’ ইউনিট করে সব রোগীকে একই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার উদ্যোগ গত দুই মাসেও নেওয়া যায়নি। সব সরকারি হাসপাতালকে কভিড ও নন-কভিড করা যায়নি। এমনকি কভিড হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর অনীহার কারণে মানুষ এখন চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যাচ্ছে না।

তবে এ অবস্থাকে অস্থিরতা বলতে নারাজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এসব কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, স্বাস্থ্য খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সম্প্রতি দেশে করোনা মহামারী চলাকালে অধিদপ্তরের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ সময় অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি প্রকাশ হতে থাকে। স্বাস্থ্য খাতে দেখা দেওয়া এসব বিশৃঙ্খলায় বেশ বিব্রত অবস্থায় পড়ে সরকার। এসব পরিস্থিতির উত্তরণে সম্প্রতি নানা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে সরকার। এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ বেশ কয়েকজনকে বদলি করা হয়েছে। নিজ দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। ইতিমধ্যে অধিদপ্তরের পরিচালককে (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অধিদপ্তরের আরও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল করার চিন্তা করছে সরকার।

তবে স্বাস্থ্য খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনার কারণে স্বাস্থ্য খাতের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসংগতি প্রকাশ হয়ে পড়ছে। এসব দূর করতে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে আমূল পরিবর্তন দরকার। বিশেষ করে চিকিৎসক ও আমলাদের মধ্যে যে দূরত্ব ও সমন্বয়হীনতা, সেটা দূর করতে হবে। শুধু সচিব বা মহাপরিচালক পরিবর্তন করেই এ সংকটের সমাধান করা সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল হামিদ বলেন, স্বাস্থ্য খাতে কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার। সেটা না করলে সমস্যার সমাধান হবে না। শুধু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয়েই নয়, অন্য অনেক মন্ত্রণালয়েও চেইন অব কমান্ড নেই। এর কারণ বেশিরভাগ নিয়োগ বা পদায়নে স্বচ্ছতা নেই। উপযুক্ত ব্যক্তিকে উপযুক্ত অবস্থানে না বসালে এ অবস্থার পরিবর্তন হবে না। প্রশাসনের সব ক্ষেত্রে উপযুক্ত লোক বসাতে হবে। এ ক্ষেত্রে হেলথ ক্যাডার সার্ভিস গঠন করা জরুরি। অর্থাৎ জুডিশিয়াল সার্ভিসের মতো করে হেলথ ক্যাডার সার্ভিস গঠন করতে হবে।

স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বিশৃঙ্খলার শুরুটা হয়েছিল চিকিৎসকদের নিম্নমানের মাস্ক সরবরাহ দিয়ে। এরপর রিজেন্ট হাসপাতাল, জেকেজি হেলথ কেয়ারের জালিয়াতি ফাঁস হওয়ায় মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। এ সময় মহাপরিচালক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে সরকারের চুক্তি হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষের নির্দেশে। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তার কাছে ব্যাখ্যা চায়। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আরও দুই-তিন বছর থাকবে বলে এক বক্তব্যের জন্য মন্ত্রীদের তোপেও পড়তে হয়েছিল মহাপরিচালককে। পরে তিনি সেই বক্তব্য নিয়ে ‘বিভ্রান্তির’ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নেওয়া দুটি প্রকল্পেও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। সেখানে বলা হচ্ছে, এ প্রকল্পে গগলস ও পিপিইর দাম বাজারমূল্যের কয়েকগুণ বেশি ধরা হয়েছে। এ ঘটনার পর গত মাসে প্রকল্পের পরিচালককে বদলি করে সরকার। মহামারীর মধ্যে নানা অভিযোগ ওঠায় এর আগে স্বাস্থ্য সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এবার আবুল কালাম আজাদকে বিদায় নিতে হলো।

সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে হাসপাতাল পরিচালককে : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আমিনুল হাসানকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনুমোদনহীন হাসপাতাল রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তিসহ তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, পরিচালকের ফাইলটি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

কে হচ্ছেন নতুন ডিজি : গত মঙ্গলবার জনপ্রশাসন সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বর্তমান মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। তার পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর সবার মুখে এখন একটাই প্রশ্ন কে হচ্ছেন স্বাস্থ্যের পরবর্তী মহাপরিচালক। সরকারি নিয়মনীতি অনুসারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। তিনি পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলে এ পদত্যাগ কার্যকর হবে।

ডা. আবুল কালাম আজাদ পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই মহাপরিচালক হিসেবে অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে। জানা গেছে, স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের পদপ্রত্যাশী অনেকেই রয়েছেন। তবে বর্তমান মহামারী করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তাদেরই কেউই এখন এ পদে দায়িত্ব নিতে রাজি নন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক হিসেবে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার নামই বেশি শোনা যাচ্ছে। তবে আলোচনায় আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার নামও রয়েছে। এছাড়া আরও যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আবুল হাশেম খান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল ইউসুফ ফকির, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনের (নিপসম) পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়েজিদ খুরশীদ রিয়াজ, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিয়া, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শামীম হাসান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ ও জাতীয় ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির প্রধান অধ্যাপক ডা. শামসুজ্জামান খান। স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাস্থ্য মহাপরিচালক কে হবেন তা নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছার ওপর।

তবে এ ব্যাপারে গতকাল সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) নিয়োগ দেওয়া হবে। আমাদের ডিজি পদত্যাগ করেছেন। নিয়ম আছে, সেই নিয়ম অনুযায়ী এটা জনপ্রশাসনে গেছে। জনপ্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।

সমালোচনার মুখে থাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ গত মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। চাকরির নির্ধারিত মেয়াদ শেষে দুই বছরের চুক্তিতে রয়েছেন তিনি। আগামী বছরের ১৪ এপ্রিল তার সেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) থাকার সময় ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট অধ্যাপক আজাদকে ডিজি নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শীর্ষপদে যোগ দেন তিনি। গত বছর ১৪ এপ্রিল তার চাকরি মেয়াদ শেষ হয়। এরপরই চুক্তিতে নিয়োগ পান। সুত্র: দেশ রূপান্তর।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION