বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৭:৪৭ অপরাহ্ন
লাইফস্টাইল ডেস্ক:
হলুদকে বলা হয় জাদুকরী মসলা। হাজার বছর ধরে চীনা এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধে ভেষজ নিরাময় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে হলুদ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আর্থ্রাইটিস দূর করতে অনেক কার্যকরি হলুদ।
আর তাই নিয়মিত খাবার তালিকায় এক চা চামচ হলুদ যোগ করলে স্বাস্থ্যের ব্যাপক উন্নতি হতে পারে।
১. কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা কমায়
প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য উপাদান রয়েছে হলুদে যা হৃদরোগ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে। এছাড়া হলুদে থাকা কারকিউমিন রক্তকে পাতলা করতে, কোলেস্টেরল কমাতে এবং ধমনীকে সংকুচিত হতে সাহায্য করে। এটি বিভিন্ন কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা প্রদান করে।
২. ওজন কমাতে সহায়তা করে
এই ভেষজটির শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলীর কারণে এটি ওজন কমাতে পারদর্শী। ইউরোপিয়ান রিভিউ ফর মেডিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাকোলজিক্যাল সায়েন্স ২০১৫ সালে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করে, যেখানে দেখা যায় নিয়মিত হলুদ খাওয়ার ফলে প্রথম ৩০ দিনে বডি মাস ইনডেক্সে ২ শতাংশ পর্যন্ত এবং ৬০ দিনের পরে ৫-৬% বা ৮ শতাংশেরও বেশি ওজনের প্রাপ্তবয়স্কদের পরিবর্তন দেখা যায়।
ধনেপাতা কেন খাবেনধনেপাতা কেন খাবেন
৩. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
হলুদে থাকা কারকিউমিনে ক্যান্সার বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এছাড়া কারকিউমিন কোষের ক্ষতি, পরবর্তী মিউটেশন এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। কারণ এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি। এক গবেষণায় দেখা গেছে কারকিউমিনের টিউমার-বিরোধী প্রভাবও রয়েছে, এটি টিউমার গঠন এবং বিপজ্জনক কোষের বিস্তারকে বাধা দেয়।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে
হলুদে থাকা উপাদান কারকিউমিনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। হলুদ, আদা এবং গোল মরিচ দিয়ে তৈরি চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকর ঐতিহ্যবাহী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাগুলোর মধ্যে একটি। যদিও কারকিউমিন রক্তপ্রবাহে খুব ভালোভাবে শোষণ করে না, গোল মরিচের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে তা শোষণকে উন্নত করে। কারণ গোল মরিচে থাকা পিপারিন এই শোষণে সহায়তা করে।
ভয়েস/আআ