সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৯ অপরাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক:
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের উপকূল দিয়ে পাচারের চেষ্টাকালে ভোজ্য তেল, আটা, চিনি, রসুনসহ বেশ কিছু পরিমাণ খাদ্যপণ্য জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বাহিনী জানিয়েছে, এ সময় তিন পাচারকারিকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা পণ্যগুলো যুদ্ধ পরিস্থিতিতে থাকা প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে পাচারের জন্য মজুদ করা হয়েছিল।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এসব তথ্য জানান র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন।
আটকরা হলেন, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম এলাকার আবু তাহের, টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মো. তৈয়ব এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাহারঘোনা এলাকার কবির আহমদ।
র্যাব কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার মধ্যরাতে কক্সবাজার শহরের মাঝেরঘাট এলাকায় খুরুশকুল ব্রিজের দক্ষিণ পাশে কিছু লোকের যুদ্ধপরিস্থিতিতে থাকা মিয়ানমারে পাচারের জন্য বেশ কিছু পরিমাণ খাদ্যপণ্য মজুদ করার খবর পাই আমরা। খবর পেয়ে অভিযানে গেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছনো মাত্র সন্দেহভাজন চার-পাঁচজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। ধাওয়া দিয়ে তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আটকরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, মিয়ানমারে পাচারের জন্য তারা বেশ কিছু পরিমাণ খাদ্যপণ্য মজুদ করেছেন। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, স্থানীয় একটি বাসা থেকে ৫৩টি বস্তায় ২ হাজার ১২০ লিটার সয়াবিন তেল, ১৭টি বস্তায় ৮৫০ কেজি আটা, ১৫টি বস্তায় ৭৫০ কেজি চিনি, ১২টি বস্তায় ৪৮০ কেজি রসুন উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা এসব খাদ্যপণ্যের আনুমানিক মূল্য ৬ লাখ টাকার বেশি।’
আটকদের দেওয়া তথ্যের বরাতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমারে সরকারি বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে দেশটির রাখাইন রাজ্যে বেশ কিছু এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে পণ্য সরবরাহ বন্ধ থাকায় রাজ্যটিতে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এই সুযোগে সীমান্তের যুদ্ধপরিস্থিতির মধ্যেও পাচারকারি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। চক্রটির সদস্যরা কক্সবাজার উপকূলবর্তী সাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে খাদ্যপণ্য পাচার করে আসছিল।’
আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
ভয়েস/জেইউ।