বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১১:০১ অপরাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজারকে ছাড়তে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ)।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, বান্দরবনে সোনালী ব্যাংকে ন্যাশনাল কুকি-চিনের (কেএনএফ) ডাকাতির উদ্দেশ্যে শক্তিমত্তা দেখানো, আধিপত্য বিস্তার ও টাকা সংগ্রহ বলে ধারণা করছে র্যাব। পাহাড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনসহ কেএনএফের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চলছে। তার মধ্যে এমন হামলা ও ডাকাতির ঘটনা ঘটল। এখন জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে যৌথবাহিনী।
খন্দকার আল মঈন বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে ব্যাংক ম্যানেজারকে অক্ষত ও নিরাপদে ফিরিয়ে দেয়া। এজন্য নানা কৌশলে কাজ করছে র্যাব। ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে তার পরিবারের কথা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনি সুস্থ আছেন। তার অবস্থান শনাক্তে কাজ করছে র্যাব। একই সঙ্গে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করছি কীভাবে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা যায়। পাশাপাশি স্থানীয়দের সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে ও গণমাধ্যমে প্রকাশ করে জড়িতদের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।
প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুসারে এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যাংক ও তার আশেপাশে এলাকায় তারা বেশ কিছুদিন ধরে ছদ্মবেশে অবস্থান করে আসছিল। আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বলতে গেলে তারা টাকার জন্য এই কাজটি করেছে। টাকাটা তাদের মূল টার্গেট ছিল। উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের একটি শান্তি কমিটির মাধ্যমে শান্তি আলোচনা চলছিল। এই সময়ে তাদের অবস্থান ও আধিপত্য জানান দেয়ার চেষ্টাই এই হামলা।
এই হামলায় অন্য কারও ইন্ধন রয়েছে কি না বা কোনো কারণ রয়েছে কি না সে বিষয় র্যাবের গোয়েন্দারা কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
কমান্ডার মঈন বলেন, ইতোমধ্যে র্যাব-১৫ থেকে বান্দরবান ক্যাম্পে জনবল বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি র্যাব সদর দপ্তর থেকে পাহাড়ে অভিযানে দক্ষ র্যাব সদস্যদের বান্দরবান পাঠানো হয়েছে। আপনারা জানেন ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে পার্বত্য এলাকায় অভিযান চালানো অত্যন্ত কঠিন। তাই অভিজ্ঞদের ছাড়া পাহাড়ে অভিযান চালানো কঠিন। সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় র্যাব অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তাকে ও অস্ত্র উদ্ধারে কাজ করছে।
ভয়েস/জেইউ।