মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:০২ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় নিখোঁজের ৪দিন পর আরমানের লাশ উদ্ধার চকরিয়ায় পুকুরে গোসলে নেমে দুই বোনের মৃত্যু জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দল আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তের কাজ শুরু করবে মঙ্গলবার, থাকবে এক মাস বাংলাদেশকে ২০০ একর জমি ফিরিয়ে দিচ্ছে ভারত আওয়ামী লীগ হাতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে ‍না পারলে , জনগণ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবে না।: রিজভী কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিল ঘিরে সংঘর্ষে নিহত ১ পেকুয়ায় লবণ ব্যবসায়ীকে মারধর করে টাকা ছিনতাই উখিয়া ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে ২ যবক নিহত মহেশখালীতে মাংসের দাম অতিরিক্ত রাখায় ৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানা নায়িকারা ছোট কাপড় পরলে চলে, ঘরের বউদের চলে না : গোবিন্দের স্ত্রী

নিঃস্পৃহ ভোটার নিরুত্তাপ নির্বাচন

রাজেকুজ্জামান রতন:
নির্বাচনকে টাকার খেলা বানিয়ে ফেলা এবং টাকাওয়ালাদের নির্বাচিত হওয়ার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তার প্রভাব থেকে কোনো নির্বাচনই বাকি থাকবে না। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীদের হলফনামা পর্যালোচনা করেও সেই চিত্রই পাওয়া গেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের ৭০ শতাংশই ব্যবসায়ী। ২০১৯ সালে ছিল ৫৩ শতাংশ আর ২০১৪ সালে ছিল ৪৮ শতাংশ ব্যবসায়ী। অর্থাৎ ব্যবসায়ীদের মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আগ্রহ দ্রুত বাড়ছে। কমছে আইনজীবী, শিক্ষকদের অংশগ্রহণ। এবার ৬.৩২ শতাংশ আইনজীবী আর ৪.১৫ শতাংশ শিক্ষক নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। নির্বাচনী জামানত ১ লাখ টাকা, নির্বাচনী ব্যয় লাখ টাকা ছাড়িয়ে কোটির ঘরে। ফলে এই টাকার খেলায় ব্যবসায়ীরা প্রাধান্যে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। পাশাপাশি কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। গত উপজেলা নির্বাচনে কোটিপতি প্রার্থী ছিলেন ৩৭ জন, এবার সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ জনে। এসব প্রার্থীদের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে দ্রুতগতিতে। ক্ষমতার সঙ্গে থাকা এবং সম্পদ বৃদ্ধি পাওয়া এখন সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ফলাফল পাওয়া গেছে। ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন সরকারের পরিকল্পনা এবং প্রত্যাশা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হলেও কিছু নতুন সিদ্ধান্ত, নির্দেশনা আর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের নানা দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে নির্বাচনে। স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত যেমন আওয়ামী লীগ সরকারের, তেমনি এবারের প্রতীকবিহীন নির্বাচনের সিদ্ধান্তও আওয়ামী লীগের। এই সিদ্ধান্তকে নির্বাচনের গুণগত মান বৃদ্ধির চেয়েও নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করে নিয়ে আসা এবং ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধি করার কৌশল বলেই মনে করা হয়েছে। কিন্তু এত কৌশলের পরও নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি এত কম কেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবা দরকার। দেখা যাচ্ছে, এ যাবৎকালে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনের মধ্যে সর্বনিম্ন ভোটার উপস্থিতি হয়েছে এই নির্বাচনে।

দেশে ষষ্ঠবার এবং আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এ নিয়ে চতুর্থবার উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার প্রথম ধাপে নির্বাচন হলো ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন ২৩ মে, তৃতীয় ধাপ ২৯ মে এবং চতুর্থ ও শেষ ধাপের নির্বাচন হবে ৫ জুন। প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের জন্য গত ২১ মার্চ তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে মামলাসহ অন্যান্য কারণে ৮টি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত হয়। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এই তিনটি পদের সব প্রার্থী বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন ৫টি উপজেলায়। ফলে ৮ মে ১৩৯টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে গড়ে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে ৯ মে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান। তিনি বলেন, বুধবারের (৮ মে) প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে ইভিএমে প্রদত্ত ভোটের হার ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ, ব্যালটে ৩৭ দশমিক ২২ শতাংশ। গত ৮ মে বুধবার ভোট শেষ হওয়ার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন ভবনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, অনেক ভোটার ধান কাটায় ব্যস্ত থাকায় ভোটকেন্দ্রে আসেননি। ভোটার বেশি এলে নির্বাচন আরও ভালো হতো। নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ হতে পারে জানিয়ে সিইসি বলেছিলেন, সকালে বৃষ্টি হয়। আবার ধান কাটার মৌসুম বিধায় ভোট পড়ার হার কম হতে পারে। ভোটাররা ধান কাটতে থাকায় ভোটকেন্দ্রে আসেননি, এটা জানতে পেরেছি। এ ছাড়া কিছু কিছু জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। ভোটার বেশি এলে আরও বেশি ভালো হতো।

এর আগে সর্বশেষ ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে গড়ে ৪১ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছিল। ওই নির্বাচনে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ভোট হলেও বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জন করে। আর ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা ভোটে ৬১ শতাংশ এবং ২০০৯ সালে তৃতীয় উপজেলা নির্বাচনে ৬৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছিল। এর আগে ১৯৯০ সালে দ্বিতীয় উপজেলা নির্বাচন এবং ১৯৮৫ সালে প্রথম উপজেলা নির্বাচনে কত ভোট পড়েছিল সে বিষয়ে কোনো সঠিক তথ্য জানা যায়নি। ফলে যতটুকু ধারণা করা যায়, তাতে উপজেলা নির্বাচনগুলোর মধ্যে এবারই সবচেয়ে কম ভোটার উপস্থিতি ঘটেছে। অথচ প্রার্থী বাড়ানোর মাধ্যমে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর কৌশল হিসেবে এবার উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেয়নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি নির্বাচন যাতে নিজ দলের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন না হয় বা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ব্যাপক প্রার্থী নির্বাচিত না হয় সে কারণে নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে মন্ত্রী-এমপির স্বজনকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে কেউই ওই নির্দেশনা কানে তোলেননি। পরবর্তীকালে অবশ্য বলা হয়, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের বাইরে বাকিরা নির্বাচন করতে পারবেন। ২০১৯ সালের উপজেলা ভোটে চেয়ারম্যান পদে ১১৫ জন বিনা ভোটে জয়ী হলেও এবার প্রথম ধাপে মাত্র পাঁচটি উপজেলায় সব প্রার্থী বিনা ভোটে জয়ী হয়েছেন। ফলে সেই বিবেচনায়ও ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। নির্বাচন কমিশন ভোটার উপস্থিতি নিয়ে তথ্য দিলেও পত্রিকায় খবর ছিল দিনভর কেন্দ্র প্রায় ভোটারশূন্য। অবশ্য নির্বাচনের দিন ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানিয়েছিলেন, প্রথম চার ঘণ্টায় ভোটার উপস্থিতির হার ছিল ১৫ থেকে ২০ শতাংশ।

দেশের সরকার ও নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে অনাস্থা, বিরোধী দলগুলোর উপজেলা নির্বাচন বর্জনের কারণে এবার শুরু থেকেই উপজেলার ভোটে ভোটার উপস্থিতি কম হবে এই আশঙ্কা ছিল। সে কারণেই আওয়ামী লীগ ও ইসির তরফ থেকে ভোটার বাড়াতে নানা কৌশল নেওয়া হয়েছিল। তারপরও সাধারণ ভোটাররা নির্বাচন কেন্দ্রমুখী হলেন না। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনকে দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিণত করার চেষ্টার কারণে কিছু সংঘাত সংঘর্ষ হয়েছে। তবে নির্বাচনে বড় কোনো গোলযোগ না হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হওয়া খুবই প্রয়োজন কিন্তু নির্বাচনের প্রাণ যে ভোটার বা জনগণ তাদের অনুপস্থিতি ঘটলে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কি স্বস্তির কারণ হতে পারে?

জাতীয় কিংবা স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচন হবে কিন্তু ভোটার উপস্থিতি থাকবে না বা কম হবে, এটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কিন্তু ভোটারদের আগ্রহ কমতে শুরু হয়েছিল প্রধানত পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের সময় থেকে। সেবারই প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল উপজেলা নির্বাচন। ২০১৮ সালের বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা নির্বাচন বিরোধী দলগুলো বর্জন করায় তখন ভোটের হারে ধস নামে। ফলে ধান কাটা, বৃষ্টি, গরম এসবের কিছু প্রভাব থাকলেও মূলত বিরোধী দলের অনুপস্থিতি বা ভোট বর্জন এবারের নিম্নহারের ভোটের প্রধান কারণ। মূল কারণ দূর না করলে অজুহাত যতই দেওয়া হোক না কেন, ভোটাররা নির্বাচনে আগ্রহী হবে না এই সত্য মেনে নেওয়ার সময় এসেছে। ২০১৯ সালে পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে যে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার ও অনিয়মের ঘটনায় এক-চতুর্থাংশ উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিল তা নিয়ে সরকারি দলের শরিক দলের নেতারা জাতীয় সংসদে সোচ্চার হয়েছিলেন। সরকারি দলের নীতিনির্ধারকরা এই প্রতিবাদ, অভিযোগ বা অনুযোগ যে কানেই তোলেননি সেটা পরবর্তীকালে তাদের সিদ্ধান্ত ও কর্মকাণ্ডে পরিষ্কার ফুটে উঠেছে। সংবিধানের কথা মেনে চলবেন বলে যে অঙ্গীকার প্রতিনিয়ত ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে করা হয় সেই সংবিধানের ৫৯(১) অনুচ্ছেদে ‘আইনানুযায়ী নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর প্রজাতন্ত্রের প্রত্যেক প্রশাসনিক একাংশের স্থানীয় শাসনের ভার প্রদান’ করার নির্দেশনা আছে। কিন্তু ভোটারদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচনের মাধ্যমে স্থানীয় শাসনের ভার যাদের ওপর প্রদান করা হয় তাতে সংবিধানের মর্যাদা এবং নির্বাচনের সংস্কৃতি কোনোটাই তো রক্ষা হয় না। ক্ষমতার দাপট আর লুটপাট যেন হাত ধরাধরি করে চলতে থাকে।

এই যে, নির্বাচনকে ভোটারবিহীন করে আনুষ্ঠানিকতা সর্বস্ব বিষয়ে পরিণত করা হচ্ছে, তার ফল কি ভালো হবে? স্থানীয় শাসন থেকে জাতীয় সংসদ সর্বত্র তো মানুষ একই চিত্র দেখছে। এটা তো সত্যি, ভোটাররা যদি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, ঘোষিত জনপ্রতিনিধিরা তখন জবাবদিহিহীন হয়ে পড়ে আর প্রশাসন দায়হীন আচরণ করতে থাকে। তখন গণতন্ত্র একটি অকার্যকর শব্দগুচ্ছে পরিণত হয়। বাংলাদেশে এখন সেটাই দেখা যাচ্ছে। এটা শুধু গণতন্ত্রহীন পরিবেশ তৈরি করে তাই নয়, ওপর থেকে সর্বনিম্ন স্তর পর্যন্ত স্বেচ্ছাচারিতার জন্ম দেয়। ক্ষমতাসীনদের দাপট সমাজে গণতন্ত্রহীন পরিবেশ তৈরি করে। পাশাপাশি জন্ম দেয় প্রতিশোধপরায়ণ মানসিকতার। যার বিষময় ফল ভোগ করতে হয় পরবর্তী প্রজন্মকে। উপজেলা শুধু দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক স্তর নয়, গণতন্ত্র চর্চার অন্যতম জায়গা। সেই নির্বাচনে যদি গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতার চর্চা না হয় তাহলে দেশের জনগণের আস্থা অর্জিত হবে কীভাবে? উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপ সেই প্রশ্ন ও আশঙ্কা আবার তুলে ধরল। টাকা ও ক্ষমতা অর্জনের এই নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে কিছু উত্তেজনা থাকলেও জনগণ বা ভোটারদের মধ্যে নিঃস্পৃহতা ভীষণভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। দেশের নির্বাচনে যে কয়েকটি ধাপ রয়েছে যেমন জাতীয় সংসদ, জিলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ সবগুলোতেই ভোটাররা এখন আর মুখ্য নন। ক্ষমতাসীনদের মনোনয়ন, টাকাওয়ালাদের অংশগ্রহণ, পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা আর ভোটারদের অংশগ্রহণ কমে যাওয়া সামগ্রিকভাবে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। এবারের উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে এই সংকট আরও দৃশ্যমান হলো।

লেখক: রাজনৈতিক সংগঠক ও কলাম লেখক

rratan.spb@gmail.com

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION