সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৬ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

দেশে ফের বাড়তে পারে করোনা- ডা: বেনজির

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

মহামারি করোনা ভাইরাসে দেশে দ্বিতীয় পর্যায়ের ধাক্কা লাগতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক ও আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ।

দীর্ঘ সময় ছয় মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের হার বাংলাদেশে নিম্নমুখী না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে একথা বলেন।

ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, যেসব দেশ করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে, তারা যে কাজগুলো সঠিকভাবে করেছে আমরা সেই কাজগুলো সঠিকভাবে করতে না পারার কারণেই আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও নিম্নগামী হচ্ছে না। এক্ষেত্রে চীনের উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। চীন খুব কম সময়ে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করছে। চীন থেকেই করোনা ভাইরাসের শুরু হয়। চীনের আগে কোনো দেশেতো করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়নি।

‘করোনা ভাইরাস সম্পর্কে চীনের কোনো অভিজ্ঞতাই ছিল না। তারপরেও তারা তো খুব কম সময়েই করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করেছে। দেড়শ কোটি লোকের বাসস্থান চীনে, তারা করোনা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেললো। চীন কী করেছে- ট্রেসিং, আইসোলেশন, কোয়ারেন্টিন এবং লকডাউন। পাশাপাশি থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম অস্ট্রেলিয়া সঠিকভাবে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করেছে। এই কাজগুলো সঠিকভাবে করতে না পারার কারণেই আমরা করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না।

করোনা ভাইরাস বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশে হয়তো করোনা ভাইরাসের সেকেন্ডারি একটা ওয়েব আসতে পারে। আমাদের দেশের চিত্রটা হয়তো যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ভারতের মতো হতে পারে। কিছুদিন করোনা ভাইরাস দম ধরে থেকে আবারো ঊর্ধ্বগতিতে যেতে পারে। আমরা একদিকে ট্রেসিং করতে পারছি না, আক্রান্ত ব্যক্তিদের ট্রেসিং করে আইসোলেটেড করা, কোয়ারেন্টিন করা, তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছিল তাদের আইডেন্টিফাই করা, এগুলোর কোনটাই সঠিক ভাবে হচ্ছে না।

‘করোনা ভাইরাসের মতো একটা জীবাণু, সেটাতো আর বসে থাকবে না। লোকজনের মাস্ক পরা কমে যাচ্ছে, অফিস আদালত খুলে যাচ্ছে, পরিবহনও চলছে। তাহলে বিষয়টা দাঁড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস যদি নিজেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ না করে, সংক্রমণের ক্ষমতা কমিয়ে না ফেলে, তাহলে বাংলাদেশ সেকেন্ডারি একটা ওয়েবের দিকে যাবে। ’

বর্তমানে দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য করণীয় জানতে চাইলে আইইডিসিআরের সাবেক এ প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কিছুটা আক্ষেপ করে বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের জন্য করণীয় বিষয় আমরাতো বহুবার বলেছি। আমরাতো বলেই যাচ্ছি, কিন্তু যারা প্রয়োগ করার কথা তারাতো কানে তুলো দিয়ে বসে আছে। এখন সব থেকে জরুরি হলো করোনা ভাইরাসের হট স্পটগুলোতে অনুসন্ধান চালানো, কারা ওইসব স্পটের লোকজনের সংস্পর্শে এসেছেন। তাদের ট্রেস করা। এখন জরুরিভিত্তিতে এন্টিজেন কিট দিয়ে দ্রুত করোনা ভাইরাস শনাক্তের ব্যবস্থা করা। বাড়িতে বসেই যেন ১৫ মিনিটের মধ্যেই করোনা আক্রান্তদের শনাক্ত করা যায়।

‘এরপর আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আইসোলেটেড করার ব্যবস্থা করা। ঠিক একইভাবে যারা করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছেন তাদের কোয়ারেন্টিন করা। মানুষের চলাচল সীমিত করা। ঠিক যেমনটা আমরা পূর্ব রাজাবাজার ও ওয়ারীতে করেছি। এগুলোর কোনোটাই তো এখন হচ্ছে না। আমরা শুধু বলেই যাচ্ছি। কিন্তু করার কেউ নেই।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION