বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪৮ অপরাহ্ন
ভয়েস ডেস্ক:
জাতীয় নির্বাচন কোনো কারণে পিছিয়ে গেলেও জুলাই সনদের বাস্তবায়ন যেন না পেছায়, সেজন্য আগে গণভোট করার ওপর জোর দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
তিনি বলেন, কোনো কারণে যদি জাতীয় নির্বাচন সঠিক সময়ে নাও হইতে পারে, আমরা আশা করি, সঠিক সময়ে ইনশাআল্লাহ হবে, তখনও তো জুলাই সনদ পাস করতে হবে। জুলাই সনদ তো সংস্কারের বিষয়। সুতরাং দুটো বিষয়কে একসাথে জুড়ে দেওয়া কখনো সঠিক মনে করি না এবং এটা জুলাই সনদকে অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কমনওয়েলথের ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা এবং ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্টের প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফররত একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, সে বিষয়ে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সুপারিশমালা প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সাংবিধানিক আদেশ জারি করে গণভোটের মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে সেখানে।
সুপারিশে বলা হয়, ওই আদেশ জারির পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যথোপযুক্ত সময়ে অথবা নির্বাচনের দিন গণভোট হবে। সেজন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করতে হবে। সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নিয়ে ঐকমত্য হলেও সেই ভোট কখন হবে তা নিয়ে মতভিন্নতা রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। জামায়াত চায়, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে এই নভেম্বরেই গণভোট করা হোক।
তাদের এই দাবির মধ্যে ‘দুরভিসন্ধি’ দেখছে বিএনপি। তাদের দাবি গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে করারই সব দিক দিয়ে যৌক্তিক।
এ বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান আবারও তুলে ধরে তাহের বলেন, আমরা মনে করি, জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে গণভোট- এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। এটাই যথার্থ। এবং আলাদাভাবে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে।
কারণ গণভোট হোট হচ্ছে জুলাই সনদের ওপরে, রিফর্মসের ওপর জনমত। আর জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা নির্ণায়নের নির্বাচন। সুতরাং দুইটার চরিত্রই ভিন্ন।
তিনি বলেন, জুলাই সনদ জাতীয় জীবন পরিবর্তনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বিগত ৫৫ বছরে এই পরিবর্তনের সূচনা হয়নি। আগে কোনো সংস্কার হয়নি।
কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তাহের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রস্তুতি দরকার, জামায়াতের পক্ষ থেকে তা নেওয়ার কথা বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে। ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা, কেন্দ্রে সেনা, বিজিবি, র্যাব–সব বাহিনীর অবস্থান নিশ্চিত করার দাবির বিষয়টিও আলোচনায় আসার কথা বলেছেন তিনি।
ভয়েস/জেইউ।