শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি দেলোয়ার হোসেন দেলু গ্রেফতার নৌকা তল্লাশি করে ৩০ হাজার ইয়াবাসহ নৌকা জব্দ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যা জানালেন প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রামের জব্বারের বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন বাঘা শরীফ দুর্নীতি: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে চুক্তি ১৪ লাখ টাকায়, ঢাবি শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার ৫ দুই মেধাবী শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে ঘিরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ , অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা চুয়েট যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী দৌলতদিয়ায় শুটিং করাটা জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা আরও ৩ দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি কক্সবাজার থেকে বিজিপির ২৮৮ সদস্যকে মিয়ানমারে ফেরত

রমজানে বিমান ভ্রমণ: কীভাবে করবেন সেহরি-ইফতার?

লাইফস্টাইল ডেস্ক:
রোজা বিষয়ক বেশকিছু জটিল মাসআলা আছে। সেগুলোর একটি হলো—বিমান ভ্রমণের সময় রোজা রাখা। বিশেষত সেহরি ও ইফতার কখন কীভাবে করবেন—এই বিষয়টি বেশি জটিলতা সৃষ্টি করে। একইসঙ্গে বিমানে মাগরিব ও ফজরের নামাজ কখন আদায় করবেন—সেটি জানাও গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলো নিয়েই এই আলোচনা।

আমরা জানি, রোজা শুরু হয় সুবহে সাদিক থেকে। সুবহে সাদিক হলো সূর্য উদয়ের আগ মুহূর্ত। ফিকহের পরিভাষায়, রাতের শেষ দিকে পূর্ব দিগন্তের উভয় দিকে ক্ষীণ প্রশস্ত আকারে যে আলো প্রকাশ পায়, ওটাই সুবহে সাদিক।

একজন গ্রাহক ‘নগদ ইসলামিক’ অ্যাপ ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যাংক অথবা কার্ড থেকে টাকা আনতে পারবেন খুব সহজেই। ‘নগদ ইসলামিক’ অ্যাপে অ্যাড মানি ফিচার ব্যবহার করে বিভিন্ন ইসলামি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানসহ আরও অন্যান্য ব্যাংক, মাস্টারকার্ড এবং ভিসা কার্ড থেকে টাকা আনা যায় মুহূর্তেই। ফলে সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, ইউটিলিটি বিল প্রদান, কেনাকাটার পেমেন্ট করা যায় যেকোনও সময়, যেকোনও জায়গা থেকে। এ ছাড়াও ডোনেশন ফিচার ব্যবহার করে নগদ ইসলামিক-এর মাধ্যমে খুব সহজেই পৌঁছে দিন আপনার যাকাত ও ডোনেশন অসহায় মানুষদের কাছে।

সুবহে সাদিক থেকে সেহরির সময় শেষ হয়ে যায় এবং এরপর থেকেই ফজরের সময় শুরু হয়। কেউ যদি বিমানে রোজা রাখতে চান কিংবা নামাজ আদায় করতে চান, তাহলে বিমানে তিনি যেখানে অবস্থান করছেন, সেখান থেকেই সুবহে সাদিক হিসাব করবেন। সূর্যাস্তের বিষয়টিও একইরকম।

তবে চলতি বিমানে স্বাভাবিক পরিস্থিতির মতো সঠিক সময় টের পাওয়া যায় না। তারপরও সেখানে নিজ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সূর্যের উদয় ও অস্তের ব্যাপারটি ধরে নিতে হবে।

এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—যেমন, মালয়েশিয়ার সময় বাংলাদেশ থেকে দুই ঘণ্টা এগিয়ে। বাংলাদেশে যখন ভোর ৪টা, মালয়েশিয়ায় তখন ৬টা। এখন কেউ ঢাকা থেকে বিমানে রাত ২টা বা ৩টায় কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে রওনা হলো—এ অবস্থায় তিনি সেহরি করবেন কখন?

এ ব্যাপারে ফতোয়া হলো—বিমান যে দেশের ওপর দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে, যাত্রীরা ওই দেশের সেহরি-ইফতারের সময় হিসাব করবেন না। কারণ, আকাশে ও জমিনে সময়ের পার্থক্য থাকে। এক্ষেত্রে বিমানের সময়টিই বিবেচিত হবে। মানে সেখানে নিজ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সূর্যের উদয় ও অস্তের ব্যাপারে যা জানা যাবে, সেই হিসাবে সেহরি-ইফতার বা নামাজ আদায় করতে হবে। তবে ফোকাহায়ে কেরাম বলেন, এই পরিস্থিতিতে সতর্কতামূলক কিছুক্ষণ আগেই সেহরি সেরে নেওয়া এবং ইফতার করা নির্দিষ্ট সময়ের একটু পরে।

বিমানে ভ্রমণে আরেকটি বিষয়ের সম্মুখীন হতে পারেন আপনি। ধরুন, ঢাকা থেকে ইফতার করে পশ্চিমের কোনও দেশে রওনা হলেন। বিমান আপনাকে যে দেশে নামালো, সেখানে দেখলেন এখনও সূর্য অস্ত যায়নি। মানে ওই দিনের কিছু সময় এখনও বাকি। সেক্ষেত্রে কী করবেন আপনি?

উত্তর হচ্ছে—এক্ষেত্রে আপনার পানাহার থেকে বিরত থাকার প্রয়োজন নেই এবং রোজা পূর্ণ হয়েছে বলে ধরা হবে। কিন্তু যদি সূর্যাস্তের আগেই বিমান আকাশে ওড়ে আর এর ফলে দিনের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায় তবে সূর্যাস্ত না হওয়া পর্যন্ত রোজা পালন করে যেতে হবে আপনার।

কিন্তু লক্ষণীয় হলো—বিমানে রোজার বিষয়টি নিয়ে তারাই বেশি চিন্তা করেন, যারা অনেক দূরে সফর করেন। সেক্ষেত্রে যারা নিজ অবস্থানস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা প্রায় ৭৭ দশমিক ২৫ কিলোমিটার দূরে কোথাও সফরে বের হন, শরিয়তের দৃষ্টিতে তিনি একজন মুসাফির। এক্ষেত্রে তার রোজা না রাখারও স্বাধীনতা আছে। (পরে রাখার শর্তে)

আবার কেউ যদি বিমানে রোজা রাখতে চান কিন্তু সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত বুঝতে না পারেন, তাহলে তিনিও রোজা না রাখার স্বাধীনতা রাখেন। (পরে রাখার শর্তে)। এতে তার কোনও গোনাহ হবে না।

বিশেষভাবে লক্ষণীয়

তবে এখন আধুনিক যুগ। যদি কোনও প্রতিষ্ঠান এমন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে, যা নামাজ-রোজা, সেহরি-ইফতারের সময় সঠিকভাবে জানাতে পারে, তাহলে সেটার অনুসরণ করেও বিমানের মধ্যে আপনি রোজা পালন ও নামাজ আদায় করতে পারবেন।

সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত নিয়ে এত কঠোরতার কারণ হলো মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘আর তোমরা আহার করো ও পান করো যতক্ষণ না ফজরের সাদা রেখা কালো রেখা থেকে স্পষ্ট হয়। অতঃপর রাত পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ করো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৭)

তথ্যসূত্র: তাফসিরে ইবনে কাসির, বুখারি শরিফ ও জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া আল্লামা ইউসুফ বানুরী টাউনের ওয়েবসাইট অবলম্বনে। ফতোয়া নাম্বার ১৪৩৯০৮২০০৯৯২।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION