শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০১:৩০ অপরাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক:
মিয়ানমারে সংঘাতের মধ্যে পালিয়ে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়িতে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ জনকে সকালে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার ভোর সকালে তাদের কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছরা বিআইডব্লিউটিএর জেটি ঘাট দিয়ে একটি জাহাজে করে ফেরত পাঠানো হয়। তবে কক্সবাজারের বিজিবি কিংবা প্রশাসন থেকে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
২৮৮ জনের মধ্যে ২৬১ জনই মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্য। বাকিদের মধ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা রয়েছে। গত ৩ মার্চ থেকে কয়েক ধাপে এসব মিয়ানমারের নাগরিক বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল।
পুলিশ ও জেলা প্রশাসন একাধিক সূত্র থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, মিয়ানমারের ২৮৮ জনকে নিয়ে আজ ভোর ৪টার দিকে নাইকংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়ন থেকে বাসে করে প্রথমে কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর বিআইডব্লিউটিএ জেটি ঘাটে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে আনা হয়। এর পর সেখান থেকে সকাল সাড়ে ছয়টায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি জাহাজে করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজে। দুপুরে জাহাজটি সেন্ট মার্টিন উপকূল হয়ে মিয়ানমারের সিটওয়েতে ফিরে যাবে জাহাজটি।মিয়ানমারের কারাগারে সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে মুক্তি পাওয়া ১৭৩ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে জাহাজটি কক্সবাজারে এসেছিল।
পুলিশ জানায়, গতকাল দুপুরে মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজটিতে করে দেশটির উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজারে আসে। মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলকে সড়কপথে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে বিজিবির ব্যাটালিয়নে অবস্থিত একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই বিদ্যালয়েই বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যরা ছিল।
মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করেন এবং দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেন। এ সময় বিজিবির কক্সবাজার সেক্টরের কমান্ডার, নাইক্ষ্যংছড়ির জোন কমান্ডারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মিয়ানমারের নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে গতকাল এবং আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিজিবি ও উপজেলা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা কেউ এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
এর আগে সংঘাতের মধ্যে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া আরও ৩৩০ জনকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি জাহাজে করে দেশটিতে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘাত চলছে।
ভয়েস/আআ