শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৪ অপরাহ্ন
ধর্ম ডেস্ক:
শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম সকল প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য জীবনে একবার হজ পালন করা ফরজ। হজের পাশাপাশি ওমরাহ পালনকেও উৎসাহিত করা হয়েছে ইসলামে।
হজ নির্দিষ্ট সময়ে আদায় করা আবশ্যক হলেও ওমরা পালনের বিশেষ কোনো সময় নেই। তবে হজের নির্ধারিত বিশেষ সময়ে (৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত পাঁচ দিন) ওমরা পালন করা বিধেয় নয়। এই পাঁচ দিন ছাড়া বছরের যেকোনো দিন যেকোনো সময় ওমরা পালন করা যায়।
ওমরাহ শব্দের আভিধানিক অর্থ পরিদর্শন করা। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে মীকাত হতে ইহরাম করে হরিয়াহ নির্দেশিত পন্থায় পবিত্র কাবা শরিফ আওয়াফ ও সাফা-মারওয়ায় সা’ঈ করাকে ওমরাহ বলে।
ওমরাহ’র ফজিলত
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, “তোমরা অধিক পরিমাণে হজ এবং ওমরাহ করো। কেননা এ দুটো দারিদ্রতা ও গুনাহকে সেভাবে নিশ্চিহ্ন করে দেয়, কামারের হাপর যেভাবে লোহা থেকে ময়লাকে দূরীভূত করে দেয়” (নাসাঈ-২৬৩০)।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক ওমরাহ থেকে পরবর্তী ওমরাহ পর্যন্ত মাঝখানের গোনাহগুলোর জন্য কাফফারা স্বরূপ।’ (বুখারী- ১৭৭৩, মুসলিম- ১৩৪৯)।
সামর্থবান মুসলিমদের ওপর জীবনে একবার ওমরাহ পালন করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। তবে ৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত হজের পাঁচ দিন ওমরাহ পালন করা মাকরূহ।
ভয়েস/আআ