শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

মিসওয়াক একটি অবহেলিত সুন্নত

আবরার নাঈম:
হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলিম জাতির আদর্শ। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয় তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ, যে আল্লাহ ও কিয়ামত দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করে।’ (সুরা আহজাব ২৯) প্রকৃতপক্ষে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ-অনুকরণই মুসলিম জাতির সফলতার মূল হাতিয়ার। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, যতই সময় যাচ্ছে মানুষ ততই দ্বীনবিমুখ হচ্ছে। দ্বীন পালনে অনীহা ও অনাগ্রহ প্রদর্শন করছে। আল্লাহর পথ ছেড়ে অভিশপ্ত শয়তানের পথে হাঁটছে। প্রিয় নবীজি (সা.)-এর সুন্নতের প্রতি নেই বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ, যে সুন্নতগুলো সুন্নত হওয়ার পাশাপাশি নানা রোগের চিকিৎসাও। তন্মধ্যে একটি অবহেলিত সুন্নত হলো মিসওয়াক করা। নবীজি (সা.) মিসওয়াকের প্রতি কী পরিমাণ গুরুত্ব দিতেন তা হাদিসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ আছে। তিনি খুব বেশি মিসওয়াক করতেন এবং সাহাবিদেরও মিসওয়াক করতে উদ্বুদ্ধ করতেন। মিসওয়াকের গুরুত্ব সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিস থেকে জানা যায়, হজরত রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের জন্য যদি কষ্টকর মনে না করতাম তবে তাদের প্রত্যেক নামাজের সময় মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।’ (সুনানে নাসায়ি) হাদিসে মিসওয়াকের প্রতি ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি মিসওয়াক করার ব্যাপারে তোমাদের অত্যধিক উৎসাহিত করছি।’ (সুনানে নাসায়ি) মিসওয়াকের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মিসওয়াক মুখের পবিত্রতা অর্জনের উপকরণ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের মাধ্যম।’ (সুনানে নাসায়ি)

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION