মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের কেন্দ্র কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করার পর এর প্রভাবে এখনও চলছে ভারী বর্ষণ। রবিবার (২৬ মে) রাত ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই বর্ষণ সোমবার (২৭ মে) দুপুর ১২টা পর্যন্ত অব্যাহত আছে। থেমে থেমে চলা এ বর্ষণের সঙ্গে ঝড়ো হওয়া এবং বজ্রপাতও হচ্ছে। এতে কক্সবাজার উপকূলবর্তী নিম্নাঞ্চলের অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
যদিও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার ও আশেপাশের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের উপ সহকারী আবহাওয়াবিদ তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, রবিবার দুপুর ১২টা থেকে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় কক্সবাজারে বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে ৯৩ মিলিমিটার। আগামি আরও ২/৩ দিন একই ধরণের বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। ফলে পাহাড় ধ্বসের আশংকা রয়েছে। সাগরের পানি স্বাভাবিক অবস্থা চেয়ে এখনও ২ ফুট উচ্চতা বেড়ে রয়েছে। ফলে সাগরবর্তী এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করবে।
বৃষ্টি এবং জোয়ারের পানিতে কক্সবাজারের অন্তত ৩০ গ্রাম প্লাবিত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধি। এর মধ্যে কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরাটেক, কুতুবদিয়া পাড়া, সমিতি পাড়া, মোস্তাকপাড়া, ফদনার ডেইল, নুনিয়ারছড়া, মহেশখালী উপজেলার ধলাঘাটা ও মাতারবাড়ি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব উপকূলের লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। যাদের রান্না করা খাবার বিতরণ করছে প্রশাসন।
এদিকে ভূমিধ্বসের আশংকায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারিতে নিরাপদে আশ্রয় নিতে প্রচার চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান জানিয়েছেন, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণদের নিরাপদে আশ্রয় নিতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জনপ্রতিনিধি কাজ করছেন। সহজে নিরাপদে আশ্রয় না নিলে জোরপূর্বক সরানো হবে।
ভয়েস/আআ