শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

রসিকতায় মিথ্যা বলা অন্যায়

আবরার নাঈম:
আমরা অনেক সময় একসঙ্গে বসে গল্প করি। চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে চলে নানা রকমের গল্প। আর চলে বিভিন্ন ধরনের রসিকতা। এটা শরিয়তে অনুমোদিত। তবে এ ক্ষেত্রে যে কাজটা বেশি করে থাকি সেটা হলো মানুষকে বেশি পরিমাণে হাসাতে গিয়ে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া। আর মিথ্যা হলো সবচেয়ে বড় গুনাহ। নবীজিও সাহাবিদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে রসিকতা করতেন। তবে নবী (সা.) কিংবা সাহাবিরা কখনোই মিথ্যা বলতেন না।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, সাহাবিরা বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনি আমাদের সঙ্গে রসিকতাও করেন। তিনি বললেন, আমি সত্য ছাড়া কিছু বলি না।’ (আদাবুল মুফরাদ ২৬৪)

রাসুল (সা.)-এর রসিকতা। হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর নিকট একটি বাহন চাইতে আসে। তিনি বলেন, আমি তোমাকে একটি উষ্ট্রীর বাচ্চা বাহন হিসেবে দেব। সে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! উষ্ট্রীর বাচ্চা দিয়ে আমি কী করব! রাসুল (সা.) বললেন, উষ্ট্রীই তো উট প্রসব করে।’ (আদাবুল মুফরাদ ২৬৭) অর্থাৎ ছোট-বড় যে কোনো ধরনের উট হোক, সেটা তো কোনো না কোনো উষ্ট্রীর বাচ্চা।

বকর ইবনে আবদুল্লাহ (রহ.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.)-এর সাহাবিরা একে অপরের প্রতি তরমুজ নিক্ষেপ করেও রসিকতা করতেন। কিন্তু তারা কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হলে যোগ্য পুরুষই প্রতিপন্ন হতেন।’

(আদাবুল মুফরাদ ২৬৫)

তাই আমাদের জন্য এমন ধরনের রসিকতা করা উচিত নয়, যাতে মিথ্যার কোনো সংস্পর্শ থাকে। আমরা রসিকতা করব, তবে সেটা শরিয়তের গণ্ডির ভেতরে থেকে করব। এ ছাড়া রসিকতায় যেন কারও মর্যাদাহানি না হয়, সেই বিষয়ও খেয়াল রাখা আবশ্যক।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION