শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৩ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

হামাস রাজি হলে ইসরায়েলও মেনে নেবে, আশা যুক্তরাষ্ট্রের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গাজায় চলমান যুদ্ধের ইতি টানতে নতুন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে। হামাস এতে রাজি থাকলে ইসরায়েলও মেনে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন করবি এ কথা জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাটি তুলে ধরেন।

সেখানে বলা হয়েছে, মোট তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে। এর প্রথম ধাপ শুরু হবে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে। সে সময়ে গাজার জনবহুল এলাকা থেকে ইসরায়েলি সৈন্যদের সরিয়ে নেয়া হবে, দেয়া হবে মানবিক সহায়তাও। একই সঙ্গে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে বন্দী এবং জিম্মি বিনিময় হবে বলেও পরিকল্পনায় বলা হয়েছে। যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবে ইসরায়েল রাজি হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র আশা প্রকাশ করলেও ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য ইতোমধ্যেই এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি এমন এক সময়ে দেয়া হলো যখন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজার রাফা শহরে বিমান হামলা জোরদার করেছে।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র দেয়া তথ্য মতে, হামলার মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য করার পর রাফার ৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্রের সবগুলো এখন খালি পড়ে আছে। একই সঙ্গে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে বন্দী এবং জিম্মি বিনিময় হবে বলেও পরিকল্পনায় বলা হয়েছে। শুক্রবার হোয়াইট হাউজে দেয়া এক বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, প্রস্তাবিত পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে একটি পরিপূর্ণ ও সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি হবে। একইসঙ্গে জনবহুল এলাকা থেকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনি বন্দীদের জিম্মি বিনিময়ের মতো বিষয়গুলোও সেখানে অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে জানান তিনি।

বাইডেন আরও বলেন, এটা সত্যিকার অর্থেই একটি সিদ্ধান্ত নেয়ার সময়। হামাস সব সময় বলে তারা যুদ্ধবিরতি চায়। তাহলে তারা এই চুক্তি মানে কী না সেই বক্তব্য প্রমাণ করার এটি একটি সুযোগ। এই যুদ্ধবিরতি গাজায় প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক মানবিক সহায়তা নিয়ে যাওয়াসহ, বিপর্যস্ত অঞ্চলগুলোতে আরও মানবিক সহযোগিতা পৌঁছানোর অনুমতি দেবে বলেও জানান তিনি।

এই চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে সৈন্যসহ ইসরায়েলের জীবিত সব জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা হবে। আর এর মাধ্যমেই ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার শত্রুতার স্থায়ী অবসান ঘটবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নিতে শুক্রবার হামাসের প্রতি আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হামাসও এই প্রস্তাবকে ইতিবাচকভাবে দেখছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

সূত্র: বিবিসি।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION