শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক:
কুতুবদিয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ তাহের, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবরসহ ৬১ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) কুতুবদিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগটি দায়ের করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কক্সবাজার উত্তর আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী মুকুল।
কুতুবদিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাঈদীন নাঁহী অভিযোগটি আমলে নিয়ে ওসি কুতুবদিয়া থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
মামলার অভিযোগে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ৬১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মামলার বাদী সংসদ সদস্য প্রার্থী নোঙর প্রতীকের শরিফ বাদশার প্রধান নির্বাচনি সমন্বয়ক ও এজেন্ট ছিলেন, নৌকার প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিকের নির্দেশে ৪ জানুয়ারি নোঙর প্রতীকের প্রার্থীর ধুরুং স্টেডিয়ামে নির্বাচনের জনসভায় হামলা করে প্যান্ডেল, চেয়ার, মাইক ভাংচুর করে, পরবর্তীতে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুতুবদিয়া উপজেলা কার্যালয়ের হামলা করে ভাঙচুর চালানো হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করে।
৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের দিন সন্ধ্যা ৭টায় ফাকা গুলি বর্ষণ করে মামলার আসামিরা বাদীর কৈয়ারবিল সমিতির রোড়স্থ অফিসে হামলা করে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে নগদ টাকা নিয়ে নেয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন।
বাদীর আইনজীবী এডভোকেট ফিরোজ আহমদ জানান, মামলার আসামিদের মধ্যে অন্যতম কুতুবদিয়া-মহেশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক, কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ তাহের, বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কালাম, কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবর। আদালত বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে ওসি কুতুবদিয়াকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
ভয়েস/জেইউ।