শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিদের তাবুতে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৪০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজার দক্ষিণাঞ্চলের নিরাপদ স্থান ঘোষিত তাবুর ক্যাম্পে ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোরে খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায় অন্তত ২০টি তাঁবু ইসরায়েলি হামলা আঘাত হানে। খবর আল জাজিরা এবং বিবিসি।

গাজার রাফা ও খান ইউনিসে স্থল অভিযান চালানোর সময় আল-মাওয়াসিকে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ ঘোষণা করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। আর তাই সেখানে তাবুর ক্যাম্প গড়ে ঘুমাচ্ছিলেন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। সেই ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁবুতে থাকা বাস্তুচ্যুত মানুষকে লক্ষ্য করে তিনটি হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে করে খান ইউনিস শহরের পশ্চিমে আল-মাওয়াসির মানবিক এলাকাটিতে বিশাল গর্ত তৈরি হয়।

হামাসের সিভিল ডিফেন্স অথরিটির অপারেশন ডিরেক্টর বিবিসিকে জানান, “হামলাগুলোর কারণে চল্লিশ জন নিহত এবং ৬০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। অনেকে এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছে।”

গাজার সিভিল ডিফেন্স ঘটনাস্থলের ভয়াবহতার প্রাথমিক মূল্যায়নে এই হামলাটিকে গাজা যুদ্ধের সবচেয়ে জঘন্য গণহত্যার একটি বলে অভিহিত করেছেন।

দাতব্য সংস্থার একজন স্বেচ্ছাসেবক খালেদ মাহমুদ জানান, “এই হামলার ফলে সাত মিটার গভীর তিনটি গর্ত তৈরি হয়েছে এবং ২০টিরও বেশি তাঁবু চাপা পড়েছে।”

কিছু ভিডিও যাচাই করে বিবিসি জানিয়েছে যে, বিমান হামলার ফলে সৃষ্ট গভীর গর্ত থেকে হতাহত ফিলিস্তিনিদের উদ্ধার করার জন্য বেসামরিক ব্যক্তিরা হাত দিয়ে বালি খনন করছেন।

তবে হামলা সম্পর্কে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে, তাদের বিমান খান ইউনিসে হামাস যোদ্ধাদের একটি অপারেশন সেন্টারে হামলা করেছে। যারা খান ইউনিসের মানবিক এলাকার ভিতরে একটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের মধ্যে কাজ করছিল।”

ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) একজন মুখপাত্র জানান যে, হামলার আগে, ‘সুনির্দিষ্ট যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার, আকাশে নজরদারিসহ বেসামরিকদের ক্ষতির ঝুঁকি কমানোর জন্য অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।’

গাজাতে হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েল এবং আইডিএফ সৈন্যদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাতে নিরাপদ ঘোষিত এলাকাসহ বেসামরিক এবং মানবিক অবকাঠামোগুলোর পরিকল্পিত অপব্যবহার চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। তাদের দাবি ওই এলাকায় হামাস যোদ্ধারা উপস্থিত ছিল বলে মিথ্যাচার করছে ইসরায়েল।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION