সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:০৬ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকের দুয়ার উম্মুচিত হলো আজ ইয়াবা ও আইস রাখার দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড সোমবার থেকে সেন্টমার্টিন যাবে পর্যটকবাহী জাহাজ, থাকছে রাত্রিযাপনের সুযোগ গোপনীয়তা রক্ষার তাগিদ মেজর সিনহা হত্যার পূর্ণাঙ্গ রায়: সিনহার বুকের বাম পাঁজরে জুতা পরা পা দিয়ে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন প্রদীপ কুতুবদিয়ায় সড়কে লবণ ফেলে কাফনের কাপড় পড়ে চাষীদের প্রতিবাদ অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনে কমনওয়েলথের সমর্থন চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা সরকার জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে: হাইকোর্ট পরবর্তী সরকার সব ধরনের নিবর্তনমূলক আইনের পথ থেকে ফিরে আসবে: অ্যাটর্নি জেনারেল  নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেখতে পাচ্ছি না : নাগরিক পার্টি

ফজরের পর ঘুমালে যে ক্ষতি হয়

মোহাম্মাদ সাইফুল মিয়া:
ঘুম আল্লাহর একটি বিশেষ নেয়ামত। মানুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য ঘুম অপরিহার্য। জীবনের ভারসাম্য রক্ষার জন্য নির্ধারিত সময় ঘুমানো অত্যন্ত জরুরি। ইসলামের দৃষ্টিকোণ ও আধুনিক বিজ্ঞান উভয়ই ঘুমের গুরুত্ব অনুধাবন করে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য দৈনিক ৬-৭ ঘণ্টা ঘুম আবশ্যক। ইসলাম মানুষের জীবনকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে কাজ, ইবাদত ও বিশ্রামের মধ্যে সমন্বয় করার নির্দেশ দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের ঘুমকে করেছি বিশ্রাম এবং রাতকে করেছি আবরণ।’ (সুরা নাবা ৯-১০)

এই আয়াত মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সঠিক ঘুমের গুরুত্বকে স্মরণ করিয়ে দেয়। তবে সকালে বিশেষ করে ফজরের নামাজের পর ঘুমানোকে নিরুৎসাহিত করেছে ইসলাম। কারণ এ সময়টিকে কাজ ও বরকতের সময় হিসেবে গণ্য করা হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্য সকালে বরকত দান করুন।’ (তিরমিজি ১২১২) এই হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, ফজরের নামাজের পর কাজ বা ইবাদতে মনোযোগী হলে জীবনে বরকত বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে অতিরিক্ত ঘুম বা অলসতা এই বরকতের সুযোগ নষ্ট করে। আধুনিক জীবনযাপনের প্রবণতা হিসেবে অনেকেই রাত জেগে বিনোদন বা অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় ব্যয় করে, যা ফজরের নামাজ আদায়ে ব্যাঘাত ঘটায় এবং এতে বরকত কমে যায়।

রাতে ঘুমানোর প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রাতের প্রথম ভাগে ঘুমাও এবং শেষ ভাগে ইবাদতের জন্য জেগে ওঠো। কারণ রাতের শেষভাগের ইবাদত বেশি ফজিলতপূর্ণ।’ (সহিহ বুখারি ১১২০) তাই যথাসম্ভব রাতের প্রথম ভাগে ঘুমানোর অভ্যাস করা উচিত। পৃথিবীর ইতিহাসে সফল ব্যক্তিদের জীবনী থেকে জানা যায়, রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং ভোরবেলা জেগে ওঠার গুরুত্ব অনেক। এ প্রসঙ্গে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ঘুমানোর উদ্দেশে পবিত্র অবস্থায় বিছানায় যায় এবং ঘুম না আসা পর্যন্ত আল্লাহর জিকির করতে থাকে, সে পার্শ্ব পরিবর্তন করার আগেই আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ থেকে যা কিছু প্রার্থনা করবে, মহান আল্লাহ তাকে নিঃসন্দেহে তা দান করবেন।’ (তিরমিজি ৩৫২৬) ফজরের নামাজের পর রাসুলুল্লাহ (সা.) বিশেষ কিছু আমলের তাগিদ করেছেন। এই সময় দোয়া-দরুদ, তসবিহ, তাহলিল, জিকির ও আল্লাহর স্মরণে কাটানোর জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করে, সূর্যোদয় পর্যন্ত নামাজের স্থানে বসে আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকে, এরপর দুই রাকাত (ইশরাক) নামাজ আদায় করে, তার জন্য রয়েছে একটি হজ ও ওমরাহর পূর্ণ সওয়াব।’ (তিরিমিজি ৫৮৬)

রাতে ঘুমানোর আগে আল্লাহর নাম স্মরণ করা এবং ইসতেগফার করা সুন্নত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে আল্লাহর নাম স্মরণ না করে ঘুমায় এবং ফজরের সময় না জাগে, তার কানে শয়তান গিঁট বেঁধে দেয়।’ (সহিহ বুখারি ১১৪২) অতিরিক্ত ঘুম ও অলসতা উদ্বেগ, হতাশা এবং মানসিক চাপ বৃদ্ধি করে। তাই ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী সময়ের সঠিক ব্যবহার ও বরকত লাভের জন্য ফজরের পর ঘুমানোর বদলে কাজে মনোযোগী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION