শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক:
কক্সবাজারে আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রকল্পের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় আর্টিমিয়ার গুরুত্ব তোলে ধরে এটি মুখরোচক খাদ্য হিসেবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বলে জানানো হয়।
বুধবার (১৮ মে) সকাল থেকে দিনব্যাপী কক্সবাজারের একটি তারকা মানের হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ সভার আয়োজন করে।
মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) সৈয়দ মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দারিও ট্রম্বেটা।
সভায় প্রকল্পের টেকনিক্যাল টিম লিডার ড. মিজানুর রহমান প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আর্টিমিয়া এখন চিংড়ি-মাছের লাইভ ফিড হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এটি মাঠপর্যায়ে মানুষদের কাছে কাবাব এবং অন্যান্য মুখরোচক খাদ্য হিসেবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে’
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দারিও ট্রম্বেটা আর্টেমিয়া চাষকে উদ্ভাবনী , জলবায়ু সহিষ্ণু বিকল্প জীবিকা হিসেবে উল্লেখ করে লবণ চাষীদের তা ছড়িয়ে দিতে বলেন।
প্রধান অতিথি সৈয়দ মো. আলমগীর বাংলদেশে আর্টেমিয়ার নানা সম্ভাবনা তুলে ধরেন। তিনি আর্টেমিয়াকে একটি উচ্চ-প্রোটিন খাদ্য হিসেবে অভিহিত করে তা সবার মাঝে জনপ্রিয় করে তোলার পরামর্শ দেন ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি মিস লরা চেচি, শবনম ইশরাত, বিসিক কক্সবাজারের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জাফরুল ইকবাল ভূঁইয়া, কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম খালেকুজ্জামান এবং বাংলাদেশের চিংড়ি হ্যাচারিজ অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আর্টিমিয়া চাষী, মাছ উৎপাদনকারী ও হ্যাচারি মালিকগণ ও সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ অংশ নেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল ১৭ মে ২০২২ তারিখে বিভিন্ন আর্টিমিয়া ক্লাস্টার ঘুরে দেখেন এবং তারা লবণ মাঠে সফল আর্টিমিয়া চাষ প্রত্যক্ষ করেন।
ভয়েস/আআ