শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
চকরিয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদ চকরিয়া প্রতিনিধি মোহাম্মদ উল্লাহ’র বিরুদ্ধে নারী কাউন্সিলারের ঘটনাবিহীন কথিত মিথ্যা মামলা দায়ের নিয়ে সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে উক্ত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ আল্টিমেটাম দিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্লাহর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হলে সারাদেশের সাংবাদিক সমাজকে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকিবেন।
চকরিয়া পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ডের কাহারিয়াঘোনা গ্রামে জনৈক অসহায় মহিলা হামিদা বেগমের ৪বছর বয়সি এক শিশু কন্যাকে ভাড়া বাসা মালিকের ছেলে কর্তৃক ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা রেকর্ড হয়। ঘটনার পর ভাড়া বাসা থেকে নিজের মালামাল উদ্ধারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদেশ দেওয়া সত্ত্বেও স্থানীয় ৪,৫ ও৬নং ওয়ার্ড মহিলা কাউন্সিলর ফারহানা ইয়াসমিন ফোরকান তা অমান্য করে পৌরসভা কার্যালয়ে জব্দ করে রাখেন। এমনকি বাদী হামিদা বেগমকে পৌরসভায় গত ৭জুন বিকেলে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যদিবালোকে বেধম মারধর করেন। এঘটনায় থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করলে স্থাণীয় সাংবাদিক হিসেবে সংবাদ প্রচারে অসহায় বাদীকে সহযোগিতা করেন সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্লাহ। উক্ত বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাওয়ায় ক্ষিপ্ত ও ক্ষুদ্ধ হয়ে কথিত শ্লীলতাহানীর অভিযোগে গত ১১জুন রাতে চকরিয়া থানায় কোন ধরণের ঘটনা বিহীন সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মামলা (নং ২১,জিআর ২৯৪/২২) দায়ের করেন অভিযুক্ত নারী কাউন্সিলর ফারহানা ইয়াসমিন ফোরকান।
এদিকে, চকরিয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদ চকরিয়া প্রতিনিধি প্রতিবাদী সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্লাহ’র বিরুদ্ধে কুচক্রি মহলের ইন্ধনে সাজানো ও মিথ্যা মামলা দায়ের করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ। বিবৃতি দিয়েছেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি এম জাহেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এম মিজবাউল হক, সাবেক সভাপতি আবদুল মজিদ, সিনিয়র সহসভাপতি এমএইচ আরমান চৌধুরী, সহসভাপতি এম জিয়া উদ্দিন ফারুক, মুকুল কান্তি দাশ, যুগ্ম সম্পাদক একেএম বেলাল উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক জহিরুল আলম সাগরসহ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ ও কর্মরত সাংবাদিকরা। তারা অবিলম্বে উক্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বাধ্য হবেন এবং সারাদেশ ব্যাপী লাগাতার কর্মসূচি দেবেন।
এদিকে, চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, দায়েরকৃত মামলার বিষয়টি অধিকতর তদন্ত চলছে। মামলাটি তদন্তের জন্য ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো: জুয়েল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া না গেলে সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভয়েস/আআ