সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৩:৪০ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

আরসার অপহরণ বাণিজ্য, মধ্যস্থতায় বাংলাদেশিরা

রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ফাইল ছবি

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছাড়াও আশপাশের এলাকায় অপহরণে জড়িয়ে পড়েছে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র বলছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান নিয়ে সাধারণ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিশে গিয়ে আরসা সদস্যরা প্রতিনিয়ত নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে এবং নিজেদের শক্তি বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু অপহরণ নয়, অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গেও জড়িয়ে পড়েছে আরসার সদস্যরা।

সূত্র আরও জানায়, কক্সবাজার এলাকায় বাংলাদেশিদের অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের জন্য বাংলাদেশিদেরই নিয়োগ করছে মিয়ানমারের এই সন্ত্রাসীরা। আরসার নিয়োগ করা বাংলাদেশি স্থানীয় সদস্যরা ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে দেনদরবার করছে। মুক্তিপণের বিষয়ে দফারফা হলেই ছাড়া পাচ্ছেন অপহৃতরা। ফিরে আসার পর মুক্তিপণের বিষয়ে অনেকেই মুখ খুলছেন না।

গোয়েন্দারা বলছেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলছে। মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোকে কেন্দ্র করে। মূলত নিজেদের আধিপত্য জানান দিতেই গোলাগুলি ও হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে তারা। যা নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বিশেষ করে অপহরণের ঘটনা বেশি ঘটাচ্ছে। এর কারণ জানতে গিয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিজেদের কর্মতৎপরতা জানান দেওয়ার পাশাপাশি অপহরণের সঙ্গে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার বিষয়টিও জড়িত। এ জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বাইরে স্থানীয় বাসিন্দাদের অপহরণ করে চলেছে আরসা সদস্যরা।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বিভিন্ন এনজিওর সঙ্গেও আরসার যোগাযোগ রয়েছে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আরসার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ হচ্ছে অপহরণ এবং অস্ত্র ব্যবসার। এসব বিষয়ে আমরা তাদের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরসার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাদের প্ল্যান ছিল রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান সুসংহত করা। প্রশিক্ষণ দিয়ে আরসাকে স্ট্রং করা। মাদকসহ বিভিন্ন কারণে স্থানীয় লোকজনদের সঙ্গেও এক ধরনের সম্পর্ক গড়ে ওঠায় নিরাপত্তার বিষয়গুলো অনেকটাই ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, আরসার টপ লেভেলের নেতা আতাউল্লাহ এবং সামরিক শাখার প্রধান খালেদ মিয়ানমার থেকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। বিগত দিনগুলোতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের দেখা গেলেও এখন আর দেখা মেলে না। প্রতিটি ক্যাম্পে আরসার তৎপরতা রয়েছে। প্রতিটি ক্যাম্পে তারা আলাদা আলাদা নেতা তৈরি করেছে। ক্যাম্পের ইনচার্জ ও বিভিন্ন পদে লোক রেখেছে তারা।

আরসার সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনগুলোর যোগসাজশ পাওয়া গেছে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন সময় বহিষ্কৃত মেজর জিয়াকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় দেখা গেছে। রোহিঙ্গাদের মানসিক দুর্বলতাকে টার্গেট করে জঙ্গিরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে। তাদের জঙ্গিবাদে জড়ানোর শঙ্কা নেই- এ কথা বলা যাবে না।

ভয়েস/আআ/সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION