শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১১:২০ পূর্বাহ্ন
খেলাধুলা ডেস্ক:
গোলবারের সামনে প্রতিপক্ষের জন্য বিভিষিকার অপর নাম এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। বিশেষ করে পেনাল্টি শ্যুটআউটে তার সামনে নতজানু হতে হয়েছে বাঘা বাঘা খেলোয়াড়দের। গোল ঠেকিয়ে দেওয়ার অনন্য ক্ষমতার জন্য তাকে ডাকা হয় বাজপাখি নামে। তবে নিজের ব্যাপারে বরাবরই কিছুটা উদাসীন তিনি। তার ফলস্বরূপ এবার থামতে হচ্ছে তাকে। পরপর দুই ম্যাচে তিনটি হলুদ কার্ড দেখায় এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে আর্জেন্টিনা ও অ্যাস্টন ভিলার এই গোলরক্ষককে।
ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা তার ওপরে নিষেধাজ্ঞার খড়গ চাপিয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে আগামী ২ মে গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে ইউরোপা কনফারেনস লিগের সেমিফাইনালে প্রথম লেগের ম্যাচটিতে খেলতে পারবেন না বিশ্বকাপজয়ী এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।
বৃহস্পতিবার আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে লিগের দ্বিতীয় লেগে নির্ধারিত সময়ে খেলায় ২-১ গোলে পিছিয়ে থাকে অ্যাস্টন ভিলা। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান ৩-৩ হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে গোলবারে বাজিমাত করেন মার্তিনেজ।
নির্ধারিত সময়ে ব্যবধান না আসায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে নিজের ঝলক দেখান মার্তিনেজ। দুর্দান্ত দুটি পেনাল্টি সেভ করে দলকে নিয়ে যান সেমিফাইনালে। এ আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের নৈপুণ্যে গত কাতার বিশ্বকাপে শিরোপা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল ফ্রান্স। তাই তার প্রতি ক্ষোভ ছিল ফরাসি সমর্থকদের।
লিলের সমর্থকরা শুরু থেকেই তাকে দুয়োধ্বনি দিচ্ছিলেন। সেটার জবাব তিনি দিয়েছেন লিলের হয়ে প্রথম পেনাল্টি নিতে আসা নাবিল বেনতালেবের শট ঠেকিয়ে। এসময় লিলে সমর্থকদের উদ্দেশে করে তিনি চুপ থাকার ইশারা করেন। তার ব্যঙ্গমূলক আচরণে বিরক্ত হয়ে একটা সময় হলুদ কার্ড দেখান ম্যাচ রেফারি। যা ছিল ম্যাচটিতে তার দ্বিতীয় হলুদ কার্ড। নির্ধারিত সময়ের খেলায় কালক্ষেপণ করে প্রথম হলুদ কার্ডটি দেখেছিলেন তিনি।
এর আগের লেগেও একবার হলুদ কার্ড দেখেছিলেন আর্জেন্টাইন এই গোলরক্ষক। তাতে পরপর তিনটি হলুদ কার্ড দেখায় এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। তাতে আগামী ২ মে গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে সেমিফাইনালে প্রথম লেগের ম্যাচটিতে খেলতে পারবেন না মার্তিনেজ।
কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে দুটি হলুদ কার্ড দেখেও তাকে মাঠ ছেড়ে যেতে হয়নি। কারণ উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের খেলা আর টাইব্রেকারের কার্ড আলাদাভাবে গণ্য করা হয়। ফলে লিলের খেলোয়াড়রা আবেদন করেও লাভ হয়নি।
বরং লিলের হয়ে চতুর্থ পেনাল্টি নিতে আসা বেনজামিন আন্দ্রের শট ঠেকিয়ে ফরাসি সমর্থকদের একবারে চুপ করিয়ে দেন তিনি। ঠিক যেন কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের পুনরাভিত্তি করলেন। আর তাতে ৪-৩ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে ইউরোপা কনফারেনস লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ইউরোপিয়ার প্রতিযোগিতাগুলোয় টিকে থাকা একমাত্র ইংলিশ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলা।
ভয়েস/আআ