রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সরকার নির্বাচিত নয়, সেজন্য জনগণকে তারা ভয় পায়: ড. মঈন খান যশোরে আজকেও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ৪০ মিয়ানমার বিজিপি সদস্যের বাংলাদেশে আশ্রয় অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নে কক্সবাজারের সীমান্ত এলাকা খুবই ঝুকিপূর্ণ-বিএফআইইউ প্রধান মো মাসুদ বিশ্বাস বহিষ্কারে কোণঠাসা পেকুয়ার বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজু বাবার মতো রাজনীতিতে নামছেন সোনাক্ষী? যেভাবে গোসল করলে ত্বক কোমল থাকে বদির বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের জিডি বিশ্বকাপ ও বাংলাদেশ সিরিজের যুক্তরাষ্ট্র দল ঘোষণা

রাসুলের সুপারিশ লাভের আমল

মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ:
রাসুল (সা.)-এর নাম উচ্চারিত হলে একবার দরুদ পাঠ করা ওয়াজিব। রাসুল (সা.)-কে ভালোবাসার অন্যতম নিদর্শন হলো, বেশি বেশি তার ওপর দরুদ পাঠ করা। দরুদ পাঠে রয়েছে ইহকাল ও পরকালের প্রভূত কল্যাণ।

প্রাত্যহিক জীবনে আমরা নানা সংকট ও সমস্যায় পড়ি। সমাধানের জন্য নানা কাজ ও তদবির করি। তবু সমাধান হয় না। অথচ দরুদ পড়লে দুনিয়া ও আখেরাতের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে আমার ওপর প্রতিদিন ১০০ বার দরুদ পড়বে, আল্লাহতায়ালা তার ১০০টি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবেন। এর মধ্যে আখেরাতে সত্তরটি এবং দুনিয়ায় ত্রিশটি।’ -তাবারানি

বেশি বেশি দরুদ পাঠের মাধ্যমে রাসুল (সা.)-এর সুপারিশ লাভে ধন্য হওয়া যায়। আল্লাহর রহমত লাভ করা যায়। জান্নাতে রাসুল (সা.)-এর নিকটবর্তী হওয়া যাবে। কত বিস্ময়কর ফজিলতময় আমল, কত প্রশান্তিদায়ক এই দরুদ। হজরত রুয়াইফি বিন সাবিত (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বলবে হে আল্লাহ! মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি দয়া করুন এবং কেয়ামতের দিন আপনার নিকটবর্তী স্থানে জায়গা দিন, এমন ব্যক্তির জন্য আমার সুপারিশ ওয়াজিব হয়ে যাবে।’ -মুসনাদে আহমদ

অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর সকালে দশবার এবং বিকালে দশবার দরুদ পড়বে তার ওপর আমার সুপারিশ আবশ্যক হয়ে যাবে।’ -তাবরানি

জুমার দিন অত্যন্ত ফজিলতময়। আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রতি জুমায় তোমরা আমার প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কেননা প্রত্যেক জুমার দিনে আমার কাছে উম্মতের দরুদ পেশ করা হয়। সুতরাং যে ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি দরুদ পাঠ করবে সে সবচেয়ে বেশি আমার নিকটবর্তী হবে।’ -বায়হাকি

দরুদ এমন একটি আমল, যা কবুল হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। পুঁজিহীন অসীম লাভজনক এক ব্যবসা। তাই লেখা ও কাজের ফাঁকে ফাঁকে এ আমল করা যায়। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। রাসুল (সা.)-এর ওপর একবার দরুদ পাঠ করলে ত্রিশটি সম্পদ দ্বারা আল্লাহ সম্মানিত করেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হৃদয়ের ভক্তি ও নিষ্ঠার সঙ্গে আমার প্রতি একবার দরুদ পড়বে, আল্লাহতায়ালা তার প্রতি দশটি কল্যাণ দান করবেন, দশটি মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন এবং দশটি গুনাহ মাফ করবেন।’ -সুনানে নাসায়ি

বেশি বেশি দরুদ পাঠ রাসুল (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসার অন্যতম নিদর্শন। রাসুল (সা.)-এর নাম শুনলেই দরুদ পড়তে হয়। অধিক দরুদ পাঠের মাধ্যমে ফেরেশতাদের দোয়া লাভ করা যায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো মুসলিম ব্যক্তি যখন আমার ওপর দরুদ পাঠ করে, ফেরেশতারা তার জন্য রহমতের দোয়া করতে থাকে। যতক্ষণ সে আমার প্রতি দরুদ পড়তে থাকে। সুতরাং বান্দা চাইলে দরুদ কমও পড়তে পারে, চাইলে অধিকও পড়তে পারে।’

-সুনানে ইবনে মাজাহ

রাসুল (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ। তার ওপর দরুদ পড়লে আমাদেরই লাভ, আমাদেরই কল্যাণ। যে যেখান থেকে রাসুল (সা.)-এর ওপর দরুদ পড়ে ফেরেশতাদের মাধ্যমে তা তার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। যে ব্যক্তি (সা.)-এর নাম শুনেও দরুদ পাঠ করে না, সে কৃপণ। কেয়ামতের দিন দরুদমুক্ত প্রতিটি বৈঠক লাশের দুর্গন্ধের মতো হবে এবং আক্ষেপের কারণ হবে।

হজরত আলি (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কৃপণ হলো ওই ব্যক্তি, যার সামনে আমার আলোচনা হলো অথচ সে আমার ওপর দরুদ পড়ল না।’ –তিরমিজি

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION