শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৫:১৭ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

তীব্র গরমে মুমিনের আমল

মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ:
দেশের সর্বত্র তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। এতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। এমন গরমও আল্লাহর আজাবের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তাই আল্লাহর কাছে ইসতেগফার করা জরুরি। গরমের মধ্যে ইবাদত-বন্দেগিকে সহজ করেছে ইসলাম। আবু জার (রা.) বলেন, এক সফরে আমরা রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম। এক সময় মুয়াজ্জিন জোহরের আজান দিতে চাইল। তখন রাসুল (সা.) বলেন, গরম কমতে দাও। কিছুক্ষণ পর আবার মুয়াজ্জিন আজান দিতে চাইলে পুনরায় তিনি বলেন, গরম কমতে দাও। এভাবে তিনি (নামাজ আদায়ে) এত বিলম্ব করলেন যে, আমরা টিলাগুলোর ছায়া দেখতে পেলাম। এরপর রাসুল (সা.) বলেন, গরমের প্রচণ্ডতা জাহান্নামের উত্তাপ থেকে আসে। কাজেই গরম প্রচণ্ড হলে উত্তাপ কমার পর নামাজ আদায় করো।’ -সহিহ বুখারি

গরমে অল্প আমলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। একজন মুমিন সে আমল করে সহজেই আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারে। অল্প আমলে বেশি সওয়াব পাওয়ার বেশ কিছু আমল রয়েছে।

নফল রোজা : গরমের রোজা শীতের থেকে বেশি কষ্টকর। সে কষ্ট উপেক্ষা করে যদি নফল রোজা রাখা যায়, তাহলে আল্লাহতায়ালা বেশি নেকি দেবেন। সাহাবায়ে কেরাম বেশি সওয়াবের আশায় গরমকালে রোজা রাখতেন।

পিপাসার্তকে পানি পান করানো : পিপাসার্তকে পানি পান করানো একটি উত্তম কাজ। আর যদি প্রচণ্ড গরমে কাউকে ঠাণ্ডা পানি পান করানো হয় তাহলে কাজটি আরও উত্তম হবে। এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-কে প্রশ্ন করলেন, ‘কোন দান উত্তম? উত্তরে তিনি বললেন, ‘পানি পান করানো।’ -(সুনানে নাসায়ি) ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেন, ‘তৃষ্ণার্তের তৃষ্ণা নিবারণ সর্বোত্তম মহৎ কাজের একটি।’ হাদিসের অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা জাহান্নামের আগুন নির্বাপণ করে। আর পানি পান করানো উত্তম সাদকা।’ -আবু দাউদ

নফল নামাজ : অতিরিক্ত গরম হলো জাহান্নামের নিঃশ্বাস। তাই জাহান্নামের ভয়ে লম্বা লম্বা সুরা দিয়ে নফল নামাজ আদায় করা উত্তম। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন গরম বেশি পড়বে, তখন বেশি নামাজ আদায় করো। কারণ অতিরিক্ত গরম হলো জাহান্নামের নিঃশ্বাস।’ -মেশকাত

গরম থেকে শিক্ষা : গরমের তীব্রতায় রয়েছে মুমিনের শিক্ষা। কেননা জাহান্নামের আগুনের উত্তাপ পৃথিবীর আগুনের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি। তাই এ গরম থেকে জাহান্নমের তীব্রতা অনুমান করে গুনাহ থেকে মুক্ত থাকা সহজ হবে। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘জাহান্নাম তার প্রতিপালকের কাছে এ বলে নালিশ করেছিল, হে আমার প্রতিপালক! (দহনের প্রচণ্ডতায়) আমার এক অংশ আরেক অংশকে গ্রাস করে ফেলছে। ফলে আল্লাহ জাহান্নামকে দুটি শ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি শীতকালে অপরটি গ্রীষ্মকালে। আর তাই তোমরা গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড উত্তাপ এবং শীতকালে তীব্র ঠাণ্ডা অনুভব করো।’ -সহিহ বুখারি

গরিবদের ফল বিতরণ : আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করার আরও একটি মাধ্যম হলো গরিব-দুঃখীর মধ্যে সুমিষ্ট ফল বিতরণ করা। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা। ঘামে ভেজা শরীরে জনসমাগমে গমন না করা। গরমের সময় প্রবাহিত ঘামের গন্ধে যেন অন্যের কষ্টের কারণ না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখা।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION