শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

ইলিশ আগে দেশের মানুষ পাবে, তারপর রপ্তানী: মৎস্য উপদেষ্টা

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

দেশবাসী ইলিশ পাবে না আর বিদেশে রপ্তানি হবে, এটা হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, আগে দেশকে গুরুত্ব দিতে হবে, এরপর রপ্তানি হবে।

আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করা হবে কি-না সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ফরিদা আখতার বলেন, দেশের মানুষ যাতে ইলিশ মাছ পায় এবং দাম কমে, সেই উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বাজার সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়, এ সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে সকল খাদ্যপণ্য ভেজালমুক্ত করতে হবে। সেইসঙ্গে বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়ালে দাম কমে আসবে। এজন্য সরবরাহ বাড়াতে হবে। ডিম, দুধ, মাছ ইত্যাদি জিনিসপত্রের দাম কমাতে হবে।

দুধ, ডিমের মতো পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, করতে হবে। পারবো কি না সেটা পরের কথা। কিন্তু আমার দায়িত্ব হলো দাম কমানো। এখানে অনেক সিন্ডিকেট আছে অনেক লেভেলে। যেমন একটি জায়গায় শুনেছি যে চাঁদাবাজির কারণে দাম বেড়ে যায়। সরবরাহের ক্ষেত্রে যেখানে উৎপাদন হচ্ছে সেখান থেকে বাজার পর্যন্ত আসতে গিয়ে অনেক জায়গায় পয়সা দিতে হয়, যেটা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। সেসব জায়গায় একটা মন্ত্রণালয় একা কাজ করতে পারবে না। এটা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় সবাই মিলে করতে হবে। এসব বিশেষ খাদ্যের দাম বাড়তে দেওয়া যাবে না। আমি আরও আলোচনা করবো কোথায় কোথায় সমস্যা আছে এবং সেখানে গিয়ে অবশ্যই দাম কমাতে চাই।

ফরিদা আখতার আরও বলেন, আমাদের দেশের মাছ, গরু-ছাগলের যে প্রজাতি আছে তা বিশ্বে উল্লেখযোগ্য। এই মন্ত্রণালয়ে কাজের যে সুযোগ রয়েছে সেদিকে মনোযোগ দেবো। এখানে অনেক গবেষণা হচ্ছে। এখান থেকে মানুষের জীবন-জীবিকা, পুষ্টির জোগান, আমিষের ঘাটতি পূরণের অনেক সুযোগ হবে। অনিয়মের কোনো সুযোগ রাখা উচিত হবে না। আমরা সেটা অবশ্যই দেখবো। কিন্তু প্রথম কাজ হলো একদম গ্রাম পর্যায়ে বা মাঠ পর্যায়ে যে অফিসগুলো আছে সেখানে যাবো। সেখানে যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো চিহ্নিত করবো।

তিনি বলেন, প্রথম কাজ হচ্ছে মানসম্মত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা। আমিষ নিশ্চিত করা। খাদ্য ও সরবরারের জোগান এমনভাবে নিশ্চিত করতে হবে যাতে কখনো সংকট তৈরি না হয়। মাত্র কাজে যোগ দিয়েছি। আমি খোঁজ-খবর নেবো তারপর কোন বিষয়গুলো অগ্রাধিকার দিতে হবে সেগুলো ঠিক করে কাজ এগিয়ে নেবো। সহিংসতায় যেসব মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ভাঙচুর করা হয়েছে, সেগুলোর সংস্কার কাজও শুরু করা হবে।

এর আগে তিনি সকালে সচিবালয়ে আসেন। নিজ দপ্তরে পৌঁছালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION