শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২১ অপরাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক, মহেশখালী:
মহেশখালীতে বিএনপি নেতা আলমগীর ফরিদ গ্রুপের রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মারধরের শিকার হয়ে ৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, মৃত্যুব কোলে ঢলে পড়েছেন মহেশখালী উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক শফিউল আলম শফি।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকেল ৩ টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শফিউল আলম শফির মৃত্যু হয়। সে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ছোট কুলাল পাড়া এলাকার ব্যবসায়ী কামাল পাশার ছেলে।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট রাতে মহেশখালী পৌর সদর থেকে কোটা আন্দোলনের গণ অভ্যুত্তানের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বিজয় মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে মহেশখালী পৌরসভার বানিয়ার দোকান এলাকায় সাবেক এমপি আলমগীর ফরিদের পক্ষের একটি পাবলিসিটির গাড়ির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারই ভাতিজা উপজেলা যুবদলের একটি গ্রুপের নেতা জাহেদুল হক নাহিদের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী তার উপর হামলা চালায়। হামলার পর গুরুতরভাবে আহত অবস্থায় রাতে মহেশখালী কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা শহরে রেফার করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে একদিন চিকিৎসার পর অবস্থার উন্নতি না হলে পরদিনই তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দির্ঘ এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় শফিউল আলম মুত্যু বরণ করেন।
সূত্র জানান, শফি মহেশখালী উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও মহেশখালী উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি চট্টগ্রামের একটি প্রত্রিকায় সাংবাদিকতাও করতেন। তিনি দির্ঘদিন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ গ্রুপের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। দলের কয়েকজন নেতাকর্মী জানিয়েছেন, গ্রুপ ভিত্তিক রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে শফিকে নির্মম মৃত্যু মৃত্যু বরণ করতে হয়েছে।
ইতিমধ্যে তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মহেশখালী প্রতিটা ইউনিয়নে বিক্ষোভে মিছিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাকে ব্যাপক মারধর করে গুরুতর আহত এবং পরে মৃত্যর বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আবুবকর ছিদ্দিক এক সাংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা করেন। তথন তিনি বলেন, শফি হলেন ছাত্রদের গনঅভ্যুত্থানে জন্ম স্বাধীন মহেশখালীর প্রথম শহীদ। এই মৃত্যুর জন্য বি এনপি নেতা আলমগীর ফরিদকে দায়ী করেন তিনি এবং তার হুকুমেই তাকে মেরে গুরুতর আহত করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, অচিরেই এর বিচার দেখতে পাবে তার পরিবার।
অন্যদিকে বিএনপি নেতা আলমগীর ফরিদ এক সাংবাদিক সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।
উল্লেখ্য যে, মহেশখালী উপজেলায় বিএনপির রাজনীতিতে আলমগীর ফরিদ ও বিএনপি নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু বক্কর চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আলাদা দুটি গ্রুপ রয়েছে।
ভয়েস/জেইউ।