বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ১০:৪০ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

সর্বদা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকা মুমিনের গুণ

রাজু আহমেদ:
মানুষ মরণশীল। মৃত্যু আসবেই। অনেকেই বলে থাকেন, অমুকের অকালমৃত্যু ঘটেছে। ইসলামের দৃষ্টিতে ‘অকালমৃত্যু’ বলতে কিছু নেই। কারণ সবার মৃত্যুর দিন-তারিখ সবকিছু পূর্ব থেকেই নির্ধারিত। নির্ধারিত সময়েই মৃত্যুবরণ করেন সবাই। নির্দিষ্ট সময়ের এক মুহূর্ত আগে বা পরে কারও মৃত্যু হয় না। একেকজন মানুষ বা প্রাণী একেক সময় মৃত্যুবরণ করলেও প্রত্যেকের মৃত্যুর সময় ও তারিখ নির্দিষ্ট।

মৃত্যু থেকে পালিয়ে থাকার কোনো অবকাশ নেই। চিরদিন বেঁচে থাকারও কোনো উপায় নেই। মহান আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, ‘তোমরা যে মৃত্যু থেকে পালাতে চাও, সেই মৃত্যুর সামনাসামনি হতেই হবে। তোমাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা আল্লাহর কাছে। আর তোমাদের জানিয়ে দেওয়া হবে যা তোমরা করতে।’ (সুরা জুমা, আয়াত ৮) মহান আল্লাহ আরও ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা যেখানেই থাকো না কেন মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবেই; সুউচ্চ সুদৃঢ় দুর্গে থাকলেও। আর তাদের ভালো হলে তারা বলে এটা আল্লাহর কাছ থেকে। আর তাদের কোনো মন্দ হলে তারা বলে এটা তোমার জন্য। বলো, সবই আল্লাহর কাছ থেকে। এ সম্প্রদায়ের কী হয়েছে যে এরা একেবারেই কোনো কথা বোঝে না।’ (সুরা নিসা, আয়াত ৭৮) কয়েকদিন আগের ঘটনা, এক চাকরিজীবী অফিস শেষে ইলিশ মাছ কিনে বাড়ি ফিরছিল। রাস্তায় তাকে পিষে দিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি। হয়তো লোকটি মাছ কেনার আগে বাড়িতে ফোন করে জানতে চেয়েছিল, কী মাছ আনবে? বা আগেই ঠিক করে রেখেছিল, ইলিশ মাছ কিনে বাড়ি ফিরবে। মাছ কেনার সময় কি মনে হয়েছে এটা তার রিজিকে নেই? অবশ্যই তেমনটি হয়নি।

আমরা কত কিছু ভাবি, কত পরিকল্পনা করে ফেলি। অথচ যেকোনো সময় আজরাইল (আ.) এসে সামনে দাঁড়াতে পারেন। তখন কি আমরা মাফ চাইতে পারব? অতীতের জন্য অনুশোচনা জানানোর সুযোগ পাব রবের কাছে? প্রিয়জনদের থেকে বিদায় নেওয়ার সময় পাব? কিংবা এক চামচ পানি পাব রুহ কবজের সময়ে? মৃত্যুর মতো অনিশ্চিত আর কিছুই নেই।

তাই আসুন, সবসময় মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকি। মহান আল্লাহর দেওয়া বিধান নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করি। আসুন, নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি, রমজানের রোজা রাখি, সক্ষম হলে হজ করি, জাকাত দিই। সকলের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করি। তাহলে সবার ভালোবাসা ও দোয়া পাওয়া যাবে। সেটা আমাদের আমলের পাল্লায় সওয়াব হিসেবে যুক্ত হবে। পরকালের কঠিন সময়ে তা আমাদের কাজে লাগবে। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে আমল করার তওফিক দান করুন।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION