স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন থেকে সমাজের বিভিন্ন রকম অসামাজিক কাজের সহযোগি ছিল মোসলেম। সর্বশেষ ফকিরা ঘোনা জনৈক (ছদ্মনাম হামিদ) মহেশখালীতে অন্যের বউকে এর বিবাহিত মেয়ে (কমলা ছদ্মনাম) কে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। এনিয়ে এলাকায় এমন অসামাজিক কাজের নায়ক হওয়াতে মোসলেমকে সবখানে ধিক্কার দিচ্ছে। এলাকাবাসী জানান এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার পর থেকে দুই পরিবারে অশান্তির মধ্যে রয়েছে বলে জানান। সমাজের উচ্চ শিক্ষিত এই ব্যাংকারের এরকম অসামাজিক ঘৃণ্য কাজ করায় সর্বত্র ঘৃণিত হচ্ছেন তিনি।
স্বামী জানান, দীর্ঘ দিনের প্রেমকে বাস্তবে রূপ দিতে স্ত্রীকে ভালোবেসে বিয়ে করে সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছিল। এরই মাঝে লম্পট মোসলেমের কু—দৃষ্টি পড়ে তার স্ত্রীর উপর। তিনি আরো জানান, আত্মীয়তার সুবাদে মাঝে মাঝে যোগাযোগ করার চেষ্টা করত মোসলেম। লোভে পড়ে গত ১৫ মার্চ ৫ ভরি স্বর্ণ, নগদ ৫ লক্ষ টাকা সহ বউকে ফুসলিয়ে জাদু—টোনার মাধ্যমে এক প্রকার জিম্মি করে তার বউকে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি তার স্ত্রী স্বেচ্ছায় যায়নি, তাকে অপকৌশলে নিয়ে গেছে। যার কারণে তারা আত্মগোপনে আছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যেহেতু জোর করে নিয়ে গেছে তাই যেকোনো ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমনকি প্রাণ সংহার হতেও পারে তার স্ত্রীর।
ভুক্তভোগী স্বামী জানান, যেহেতু আমাদের দীর্ঘ দিনের ভালোবাসার বিয়ে সেহেতু আমি তাকে (স্ত্রীকে) ফিরে পেতে চাই। এবিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ সকলের সহযোগিতা চাই।
ঘটনার বিষয়ে সমাজের একজন ইসলামিক ব্যক্তিত্ব জানান, ইসলামের বিধিবিধান অনুযায়ী মহানবী (সা.) অন্যের স্ত্রীর দিকে চোখ তুলে তাকানোকে অত্যন্ত চরম অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং খেয়ানত বলে উল্লেখ করেছেন। সেখানে একজনের বিবাহিত স্ত্রীকে তার থেকে ডিভোর্স নেওয়া ছাড়া অথবা তার মৃত্যু ছাড়া, তাকে ভাগিয়ে নিয়ে বিবাহ করাটা চরম অপরাধ। যে মহিলা নিজে থেকে ভেগে যাবেন তিনিও এই অপরাধে অপরাধী হবেন এবং বাংলাদেশে প্রচলিত যে মুসলিম পারিবারিক আইন রয়েছে সে আইনেও ৭ বছর কারাদণ্ডের কথা পর্যন্ত বলা আছে। অর্থাৎ এটা দেশীয় প্রচলিত আইনেও অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। মহেশখালীতে এমন ঘটনার কথা জানাজানি হলে সর্বত্র তোলপাড় পড়ে যায়। ঘটনার বিষয়ে জানতে মোসলেম এর মোবাইল ফোনে বার বার ফোন দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।