শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৮:১২ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

মিয়ানমার-থাই সীমান্তে যুদ্ধ: ভয়ে থাইল্যান্ডে পালিয়েছেন ২০০ বেসামরিক

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

আটকে থাকা জান্তা সেনাদের লক্ষ্য করে এবার মিয়ানমার-থাই সীমান্তে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে বিদ্রোহীরা। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের সঙ্গে মিয়ানমারের পূর্ব সীমান্তে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের ভয়ে প্রাণ নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে পালিয়েছেন ২০০ বেসামরিক। প্রত্যক্ষদর্শী, মিডিয়া এবং থাই সরকারের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

১১ এপ্রিল সীমান্তবর্তী প্রধান বাণিজ্য শহর মিয়াবতী দখল করে প্রতিরোধ যোদ্ধা এবং জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীরা। ঘটনাটি সামরিক জান্তার জন্য একটি বড় ধরনের ধাক্কা ছিল। এই ঘটনার পর থাই-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী একটি ক্রসিং সেতুতে আশ্রয় নেন প্রায় ২০০ জান্তা সেনা। তাদের লক্ষ্য করেই শনিবারের এই হামলার পরিচালনা করে বিদ্রোহীরা।

থাই এবং মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের তিন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, শুক্রবার গভীর রাত থেকে একটি কৌশলগত সেতুর কাছে বিস্ফোরণ এবং ভারী মেশিনগানের গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন তারা। এই শব্দ শনিবার ভোর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

বেশ কয়েকটি থাই মিডিয়া জানিয়েছে, তাৎক্ষণিক আশ্রয়ের আশায় সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে গেছেন প্রায় ২০০ মানুষ।

থাই সম্প্রচারকারী এনবিটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ করা একটি পোস্টে বলেছে, জান্তা সেনাদের লক্ষ্য করে প্রতিরোধ বাহিনী ৪০ মিলিমিটার মেশিনগান ব্যবহার করেছে এবং ড্রোন ব্যবহার করে ২০টি বোমা ফেলেছে। তাদের লক্ষ্যবস্তু হওয়া জান্তা সেনারা ৫ এপ্রিলে থেকে মিয়াবতী এবং সেনা পোস্টে সম্মিলিত বিদ্রোহী হামলা থেকে বাচতে সীমান্তবর্তী একটি সেতু ক্রসিংয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানে আনুমানিক ২০০ জান্তা সেনা আশ্রয় নিয়েছেন।

অবিলম্বে এই তথ্যগুলো যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য মিয়ানমার জান্তার মুখপাত্রের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও যোগাযোগ করতে পারেনি বার্তা সংস্থাটি।

সীমান্তের এই অস্থিরতা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার কথা বলেছেন থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন। প্রয়োজনে তার দেশ মানবিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের কোনও সংঘর্ষ থাইল্যান্ডের আঞ্চলিক অখণ্ডতার ওপর কোন প্রভাব ফেলুক তা আমরা দেখতে চাই না। আমাদের সীমানা এবং জনসাধারণের নিরাপত্তা রক্ষায় আমরা প্রস্তুত।’ তবে ওই পোস্টে উদ্বাস্তুদের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি তিনি।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION