সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ১০:০৮ অপরাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
দুবাইয়ে সোনার দোকান চালু করে আলোচনায় আসা রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিষয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আজ রোববার প্রথম আলোকে এই তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ক্রীড়া ও বিনোদন জগতের বেশ কয়েকজন তারকাকে নিয়ে গত বুধবার দুবাইতে সোনার দোকান উদ্বোধন করে আলোচনায় আসেন রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, রবিউল ইসলাম একজন পুলিশ কর্মকর্তা খুনের মামলার আসামিও। সোনার দোকান চালুর ঘটনাকে ঘিরে তাঁর বিরুদ্ধে অতীতের নানা অভিযোগ এখন সামনে এসেছে।
এ বিষয়ে জানতে আজ মোবাইল ফোনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছেন, রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আসলে সে কে, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তদন্তে যে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাবে তার ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এখন আলোচিত আরাভ খানই পুলিশ কর্মকর্তা খুনের মামলার সেই আসামি কি না, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এতে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁকে আইনের মুখোমুখি করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দুবাই থেকে তাঁকে ফেরত আনার আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান (বাঁয়ে)। তাঁর গ্রামের বাড়িতে থাকেন না কেউ। বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জে কোটালিপাড়া উপজেলা হিরন ইউনিয়নের আশুতিয়া গ্রামে
গোয়েন্দা পুলিশের তথ্যমতে, দুবাইয়ে আরাভ জুয়েলার্স নামের সোনার দোকানের মালিক আরাভ খানের আসল নাম রবিউল ইসলাম। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তাঁর বাড়ি। তিনি সোহাগ মোল্লা, হৃদয় শেখ, আপন-এ ধরনের বিভিন্ন নামে পরিচিত।
২০১৮ সালের ৭ জুলাই ঢাকায় পুলিশের পরিদর্শক মামুন এমরান খান খুন হন। সেই খুনের মামলার আসামি হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন রবিউল।
ডিবি পুলিশ বলেছে, রবিউল দেশ থেকে পালিয়ে প্রথমে ভারতে যান। সেখান থেকে আরাভ খান নামে ভারতীয় পাসপোর্ট সংগ্রহ করে দুবাই চলে যান।
ভয়েস/জেইউ।