রবিবার, ২৯ Jun ২০২৫, ০৭:২৭ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

পাহাড়ে চা চাষে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে চাষিরা

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

পাহাড়ের মাটির গুণাগুণ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। উর্বর মাটিতে যুগ যুগ ধরে চাষ হচ্ছে দেশি-বিদেশি কৃষি পণ্য।এবার নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে চা চাষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৩ পার্বত্য জেলার অনাবাদী ও প্রত্যন্ত এলাকার পাহাড়ি জমিতে চা চাষের জন্য উপযুক্ত। ইতোমধ্যে তা প্রমাণিত। দীর্ঘ বছর ধরে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি এবং খাগড়াছড়ির রামগড়ের বিশাল একটি অংশজুড়ে রয়েছে চা-বাগান।

অন্যদিকে বান্দরবানের থানছি কিংবা রাঙামাটির সাজেকেও চা চাষ করা হচ্ছে। তবে সরকার পাহাড়ে আরও ব্যাপকভাবে চা চাষ সম্প্রসারণ করার কথা ভাবছে। ইতোমধ্যে বান্দরবানে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ক্ষুদ্রায়তন চা চাষ প্রকল্প’ শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, খাগড়াছড়িতে প্রায় ৫শ হেক্টর জায়গাজুড়ে চা চাষ সম্প্রসারণ করা হবে। এজন্য ৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে পাহাড়ের মাটি, আবহাওয়া-জলবায়ু এবং ভূ-প্রকৃতি বাংলাদেশ চা-গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিটিআরই) বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার খেদারমারা ইউনিয়ন ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সভাপতি কর্ণমনি চাকমা বলেন, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে চা বোর্ডের নিবন্ধিত হওয়ার পর এখন প্রতিদিন ৫ থেকে ৬শ কেজি চা উৎপাদিত হচ্ছে। কিন্তু স্থানীয়ভাবে কারখানা গড়ে উঠলে মানুষের মধ্যে আরও উদ্দীপনা সৃষ্টি হবে। ইতোমধ্যে খাগড়াছড়ি সফর করে গেছেন বাংলাদেশ চা-বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল জহিরুল ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাহাড়ের দারিদ্র্য দূর করতে এখানে চা চাষ সম্প্রসারণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। তারই অংশ হিসেবে খাগড়াছড়ি জেলাও এবার ৫শ হেক্টর চা চাষ করা হবে। এতে করে ক্ষুদ্র চাষিরা লাভবান হবেন।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION