সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

‘করোনার টেনশন আর মাথায় নাই, আগে চাকরি বাঁচাইতে হইবো’

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

‘ভাই করোনা-টরোনার টেনশন আর মাথায় নাই, আগে চাকরি বাঁচাইতে হইবো। কারখানা থাইক্যা এসএমএস দিছে, রবিবারের মধ্যে কাজে যোগ দিতে।’ করোনার ভয়কে তুচ্ছ করে এভাবেই কর্মস্থলে ফেরার কথাগুলো জানান সাইদা আক্তার নামের এক নারী কর্মজীবী। করোনার ভয় এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে সাঈদার মতো হাজারও কর্মজীবীকে শনিবার (৯ মে) কর্মস্থলে ফিরতে দেখা যায়।

পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় শনিবার সকাল থেকেই ছিল কর্মজীবীদের ভিড়। রমজানের মধ্যে গণপরিবহন না থাকার ভোগান্তি ও পথের নানা ঝক্কি পোহানোর মধ্য দিয়ে তাদের ফিরতে হচ্ছিল কর্মস্থলে।

ঘাটে আসা অধিকাংশ কর্মজীবী মানুষের একই কথা, পেটের তাগিদ আর চাকরি বাঁচাতেই মহামারি করোনার মধ্যেও কর্মস্থলে ফিরছেন তারা। এদের মধ্যে অনেকেই আবার দোকানের কর্মচারীসহ এনজিও কর্মী। রবিবার (১০ মে) অনেক শপিংমল খুলবে, সেখানে তাদের যোগ দিতে হবে।

মাগুরা থেকে আসা যুবক আব্দুল আলিম বলেন, সাত সকালে বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছি, যাবো কর্মস্থল গাজীপুরের কোনাবাড়ী। পথে সীমাহীন কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে, কিন্তু কোনও উপায় নেই। গার্মেন্টসের বড় কর্তা মোবাইলে এসএমএস দিয়ে বলেছেন রবিবারের মধ্যে কাজে যোগ দিতে। বলুন, এরপরও কি ঘরে বসে থাকা যায়? সংসার চালাতে ও চাকরি রক্ষায় করোনার ঝুঁকি মাথায় নিয়েও কর্মস্থলে ফিরতেই হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, এক একটি ফেরি ঘাটে লাগার সঙ্গে সঙ্গে শত শত মানুষ হুমড়ি খেয়ে স্রোতের মতো নামছেন। তাদের চোখে-মুখে একটাই শঙ্কা, শত মাইল পথ, শত ঝক্কি ঝামেলা আর হাজার টাকা খরচ করে আসলাম, গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবো তো? সেখানে করোনা সংক্রমণের ভয় এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি অনেকটাই উপেক্ষিত ছিল। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কারও মধ্যেই আগ্রহ দেখা যায়নি।

এদিকে গণপরিবহন না থাকায় কর্মজীবী মানুষগুলোর ভোগান্তির যেন শেষ ছিল না। সিএনজি ও মোটরসাইকেলে করে তাদের বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে দেখা যায়। তবে এর জন্য মোটা অঙ্কের টাকা তাদের গুনতে হয়। পাটুরিয়া থেকে নবীনগর পর্যন্ত প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, সিএনজি চেপে জন প্রতি পাঁচশ’ টাকা ভাড়া দিতে হয় যাত্রীদের।

এদিকে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা সেক্টরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ভারপ্রাপ্ত) জিল্লুর রহমান বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে দিনভর পাঁচটি ফেরি চলাচল করলেও, দৌলতদিয়া প্রান্তে পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ বেড়ে যাওয়ায় আরও দুটি ফেরি সংযোজন করা হয়েছে। জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক আর অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের জন্য সীমিত আকারে ফেরি সার্ভিস চালু রাখা হয়েছিল। তবে গার্মেন্টস, ঢাকার শপিংমল, বিভিন্ন বেসরকারি অফিস খোলা থাকায় হাজার হাজার কর্মজীবী মানুষ ফেরিযোগে পার হওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন বলে জানান তিনি। সূত্র:বাংলাট্রিবিউন।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION