রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০০ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

‘২০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রীর নথি দিলেন অফিস সহকারী

পুরোনো ছবি

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার একজন অফিস সহকারী সরকারপ্রধানের অভিমত সম্বলিত একটি নথি মাত্র ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে বের করে দেওয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম উর রশিদ দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার তদন্তকারী এই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমাকে গতকাল রোববার গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গতকালই তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। সেখানে তিনি দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘জবানবন্দিতে ফাতেমা মাত্র ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই নথিটি বের করে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এই ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

এ ঘটনায় আরও দুজনের ‘সম্পৃক্ততা’ পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম মুমিন ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফরহাদ।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে গত ৫ মে তেজগাঁও থানায় মামলা করার পরদিন ভোলা থেকে ছাত্রলীগ নেতা তরিকুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই রাতে নোয়াখালী থেকে ফরহাদ এবং রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে নাজিমউদ্দিন নামে বিনিয়োগ বোর্ডের একজন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার ওই তিনজনকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চাইলে প্রত্যেকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

এরপর রোববার প্রথম প্রহরে মতিঝিল সরকারি টিঅ্যান্ডটি কলোনির বাসা থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এনামুল হক, বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নথি পাঠানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী নথি দেখে অধ্যাপক ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। কিন্তু চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নথিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর আগেই সেটি বাইরে চলে যায় এবং প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বদলে প্রথম দুজনের নামের পাশে ‘ক্রস’ চিহ্ন দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে আবদুস সালাম আজাদের নামের পাশে সম্মতিজ্ঞাপনের ‘টিক’ চিহ্ন দেওয়া হয়।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, ছাত্রলীগ নেতা মুমিন ‘মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে’ এই কাজ করেছেন। আবদুস সালাম আজাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে তিনি এই কাজ করেছেন কি না-তা যাচাই করে দেখা হবে। প্রায়াজনে সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখা হবে।

জালিয়াতি করে নামের পাশে কেন টিক চিহ্ন দেওয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে আবদুস সালাম আজাদ বলেন, ‘আমি ধারণা করছি, প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত বদলে দেওয়ার কাজটি যারা করেছে, তারা অন্যদের বিপক্ষে করতে গিয়ে আমার পক্ষ নিয়ে ফেলেছে।’

তবে কাউকে এখনো সন্দেহের বাইরে রাখছেন না জানিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা শামীম উর রশিদ বলেন, তিন আসামি আরও দুই দিন রিমান্ডে আছে। এই সময়ে তাদের কাছে এ সংক্রান্ত আর কোনো তথ্য পাওয়া যায় কি না সেই চেষ্টা করা হবে।সূত্র:আমাদের সময় অনলাইন।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION