মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক, নাইক্ষ্যংছড়ি:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ইয়াবাসহ এক যুবককে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন র্যাব-১৫। বুধবার (২১ এপ্রিল) জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ক্যাংপাড়া ভুলুর দোকানের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত যুবকের নাম অং থোয়াই হ্লা মারমা (২৮)। সে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ঠাকুরপাড়া গ্রামের মৃত অংলাগ্য মারমার ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় মংয়েছা মারমা নামে আরেক মাদককারবারী। জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা এনে সোনাইছড়ি হেডম্যান পাড়া এলাকায় মজুদ করেছিল চিহ্নিত একটি মাদক কারবারি চক্র।
এদিকে ইয়াবা পাচারের খবর পেয়ে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ক্যাংপাড়া ভুলুর দোকানের সামনে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের একটি ছদ্মবেশী দল অভিযান চালায়। এ সময় র্যাবের ধাওয়া খেয়ে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায় মংয়েছা মারমা নামে এক মাদক কারবারি। পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যাগ ভর্তি ১০ হাজার পিস ইয়াবা ও মাদক বহনে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা অংথোয়াইহ্লা মারমাকে।
সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যানিং মারমা বলেন, আটকৃত অংথোয়াইহ্লা এলাকায় নিরীহ যুবক হিসেবে পরিচিত। শ্রমজীবি ওই যুবকের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে অপরাধ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ ছিলনা। তিনি আরো জানান- সম্প্রতি সময়ে সোনাইছড়িতে প্রভাবশালী কয়েকজন ইয়াবা চোরাচালান চক্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এই জনপ্রতিনিধি।
এই প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হলে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, র্যাবের একটি অভিযানের কথা শুনেছি। তবে এই সংক্রান্ত কোন মামলা হয়নি নাইক্ষ্যংছড়ি থানায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আটকৃত অংথোয়াইহ্লা মারমার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করে কক্সবাজারের রামু থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সময়ে মিয়ানমার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নিকুছড়ি, রেজু, মনজয়পাড়া পয়েন্ট থেকে ইয়াবার চালান বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব ইয়াবা নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু এলাকা দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হচ্ছে। আর এসব মাদকারবারে প্রভাবশালী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পর্দার আড়ালে থেকে এলাকার নিরীহ ও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করছে। এই অবস্থায় মূল ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।
ভয়েস/জেইউ।