বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২৬ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

কুতুবদিয়ায় মাদরাসা ছাত্রীকে উত্যাক্তের প্রতিবাদ করায় উল্টো মামলা ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে হয়রানির অভিয়োগ

বার্তা পরিবেশক:

কুতুবদিয়ায় এক মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীকে পথিমধ্যে উত্যাক্ত করায় বখাটের বিরুদ্ধে অভিবাবক প্রতিবাদ করতে গিয়ে মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে৷ ছাত্রীর পিতা নিজ কন্যার ইজ্জত রক্ষার্থে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে ও শেষ রক্ষা হয়নি৷ গত ১৬মে উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের কুইলার পাড়া ৯নং ওয়ার্ড়ের জসিম উদ্দিন ড্রাইভারের কন্যা উত্তর ধুরুং ছমদিয়া আলীম মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিদরাতুল মুনতাহা(১৪) রেজিষ্ট্রেশনের কাজে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে একই এলাকার আমির হোছাইনের ছেলে শহিদুল ইসলাম প্রকাশ বদন(২০) উত্যাক্ত করে৷ বিষয়টি ছিদরাতুল মুনতাহারের পিতাকে ছাত্রী জানালে তার পিতা জসিম উদ্দিন ড্রাইভার বিষযটি প্রতিবাদ করে৷ পরে পরিবার এই ঘটনা নিয়ে জসিম উদ্দিন ড্রাইভার কে মারধরের চেষ্টা করে। এলাকার লোকজনের উপস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি৷ তার পরিবার নিজেরা ইভটিজিং মামলা থেকে বাঁচার জন্য উল্টো কুতুবদিয়া থানায় ছাত্রীর পিতা জসিম উদ্দিন, তাঁর ভাই ইমতিয়াজ উদ্দিন, এস্তাফ উদ্দিনের নামে এজহার দায়ের করেন৷ বিষয়টি তদন্তের জন্য সাবেক ওসি মোঃ জালাল উদ্দিন এসআই আবদুল্লাহ ফারুক কে সরেজমিনে তদন্তে পাঠান৷ পথের মধ্যে ছাত্রীকে উত্যাক্তের বিষয় উঠে আসায় থানা এজহারটি আমলে নেয় নি৷ এতে ওই ছেলের পিতা আমির হোছাইন ক্ষিপ্ত হয়ে কুতুবদিয়া জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ছাত্রীর পিতা জসিম উদ্দিন ড্রাইভার, তাঁর ভাই ইমতিয়াজ উদ্দিন, এস্তাফ উদ্দিন কে আসামী করে সিআর ৯৯/২১ নং মামলা করেন। আদালত এজহারটি কুতুবদিয়া থানাকে তদন্ত পূর্বক দাখিলের নির্দেশ দেন৷ কুতুবদিয়া থানার ওসি বিষয়টি সম্পর্কে জানা থাকায় এসআই আবদুল্লাহ আল ফারুক কে তদন্তের দায়িত্বভার দেন৷

মামলার বিষয়ে আবদুল্লাহ আল ফারুকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন আছে, এমতাবস্থায় একটি মহল নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে৷ বিষযটি নিয়ে ছাত্রীর (সিদরাতুল মোনতাহারের) চাচা ইমতিয়াজ উদ্দিন জানান, তার ভাতিজি মাদরাসায় যাওযার পথে শহিদুল ইসলাম প্রকাশ বদন উত্যাক্ত করে। এ বিষয়ে তার বড়ভাই জসিম উদ্দিন ড্রাইভার প্রতিবাদ করলে বখাটে বদন উত্যাক্ত কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য তার পরিবারকে অনুরোধ করে। এতে বদনসহ তার সাঙ্গ,পাঙ্গ নিয়ে জসিম ড্রাইভারকে আক্রমন করে। মেয়ের ইজ্জতের বিষয় যাতে প্রকাশ না পায় তার জন্য চুপ থাকে। কিন্তু বপরিবার উল্টো তাদের বিরুদ্ধে কুতুবদিয়া আদালতে মামলা করে। পরিবার নিজেরা বাঁচার জন্য গত ১৮ জুন দৈনিক ইনানী, দৈনিক কক্সবাজার বার্তা পত্রিকায় ” কুতুবদিয়া থানার এসআই ফারুকের বিরুদ্ধে বাদীকে হয়রানির অভিযোগ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করে। উক্ত মিথ্যা ভিত্তিহীন ভূঁয়া,সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION